জুমবাংলা ডেস্ক : সীতাকুণ্ডের বিএম কন্টেইনার ডিপোতে আগুন লেগে একের পর এক কনটেইনার বিস্ফোরণে পর ভেতরে কর্মরতরা ছুটতে শুরু করেছেন দিকবেদিক। ফটক খোলা না পেয়ে নিরুপায় হয়ে তারা সীমানা প্রাচীর ডিঙ্গিয়ে প্রাণ বাঁচানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু সীমানা প্রাচীর উঁচু ও প্রাচীরের উপর তাঁরকাটা থাকায় পার হতে পারছিলেন না।
তখন তাদের জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন স্থানীয় চায়ের দোকানদার হানিফ। তিনি মই এনে ২৮ থেকে ৩০ জন শ্রমিকের প্রাণ বাঁচান। পরে স্থানীয়রা আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠায়।
৫০ বছর বয়সী দোকানী হানিফ বর্ণনা দেন সেই রাতের। তিনি জানান, ঘটনার দিন রাতে দোকানেই ছিলেন। যখন বিস্ফোরণ ঘটে শ্রমিকরা দিগ্বিদিক ছুটতে থাকে। তারা সীমানা প্রাচীর ডিঙ্গিয়ে প্রাণ বাঁচানোর চেষ্টা করে। কিন্তু সীমানা প্রাচীর উঁচু ও প্রাচীরের উপর তাঁরকাটা থাকায় পার হতে পারছিলেন না তারা। পরে তিনি তার স্ত্রী নাছিমা আক্তারকে দিয়ে একটি মই আনিয়ে প্রায় ২৮-৩০ জন শ্রমিককে উদ্ধার করেন। আহতদের মধ্যে অনেকেই পুড়ে গেছেন। কারো হাত পা কেটে গেছে। তাদের মধ্যে দুইজনের অবস্থা আশংকাজনক ছিল। শ্রমিকদের উদ্ধার করতে গিয়ে তিনি নিজেরও আঘাত প্রাপ্ত হন বলে জানান।
স্থানীয়রা বলছেন, এলাকায় হানিফ সহজসরল হিসেবে পরিচিত। কারো সঙ্গেই তার ঝগড়া বিবাদ নেই। গত শনিবার রাতে অনেকটা নিজের জীবন বাজি রেখেই তিনি অনেক শ্রমিকের জীবন বাঁচিয়েছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।