জুমবাংলা ডেস্ক : সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার দূর্গম বাঘুটিয়া ইউনিয়নের সম্ভুদিয়া কবরস্থানের পাশে ফেলে যাওয়া সেই বৃদ্ধ বাবা-মায়ের দায়িত্ব নিয়েছেন চৌহালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুব হাসান। গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিষয়টি তার নজরে এলে শুক্রবার সকালে চৌহালী উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাইফুল ইসলামকে দিয়ে নগদ ১০ হাজার টাকা ও তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন তিনি।
এর আগে চৌহালী উপজেলার দূর্গম উমারপুর ইউনিয়ননের হাপানিয়া গ্রামের হামিদ মোল্লা (৮৬) ও তার স্ত্রী ফজিলা খাতুন (৭৭) এর ৫ ছেলে ও দুই মেয়ে থাকার পরও পাঁচ ছেলে তাদের ভরণপোষণ না দিয়ে সেজ ছেলের বউ বৃদ্ধ বাবা-মাকে হাপানিয়ার চরে পাঠিয়ে দেয়। সেখানে কিছুদিন এক ভাগ্নের বাড়িতে আশ্রয় নিলে কয়েক মাস পরে তারাও অবহেলা অযত্ন শুরু করেন। এরপর সেখান থেকে বুধবার তাদের সম্ভুদিয়া কবরস্থানের পাশে রাস্তার ধারে রেখে যায়। তাদের অসহায় অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা সম্ভুদিয়ায় তার বিধবা মেয়ে মনোয়ারা খাতুনকে খবর দিলে তিনি ছুটে এসে তার বৃদ্ধ বাবা-মাকে বাড়িতে নিয়ে যান।
ওই বৃদ্ধ দম্পত্তি জানায়, সন্তানদের মানুষ করতে জীবনের পুরোটা সময় হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করেছি। আশা ছিল শেষ বয়সে তারা আমাদের দেখবে। কিন্তু দেখা তো দূরে থাক তারা আমাদের কবরস্থানের পাশে ফেলে গেছে।
এ বিষয়ে বাঘুটিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ জানান, বৃদ্ধ দম্পতিকে তার ইউনিয়নের পক্ষ থেকে ভাতা কার্ডসহ সকল ব্যবস্থা করে দেয়া হবে।
চৌহালী উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাইফুল ইসলাম বলেন, তাদের দ্রুত ভাতা কার্ড করে দেয়াসহ অন্যান্য ব্যবস্থা করা হবে।
এদিকে চৌহালীর ইউএনও মাহবুব হাসান তাদের ঘর তুলে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। পাশাপাশি বাবা-মাকে ভরণপোষণ না করার অপরাধে ছেলেদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম মোল্লাও তাদের খোঁজখবর নিচ্ছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।