Close Menu
Bangla news
    Facebook X (Twitter) Instagram
    Bangla news
    • প্রচ্ছদ
    • জাতীয়
    • অর্থনীতি
    • আন্তর্জাতিক
    • রাজনীতি
    • বিনোদন
    • খেলাধুলা
    • শিক্ষা
    • আরও
      • লাইফস্টাইল
      • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
      • বিভাগীয় সংবাদ
      • স্বাস্থ্য
      • অন্যরকম খবর
      • অপরাধ-দুর্নীতি
      • পজিটিভ বাংলাদেশ
      • আইন-আদালত
      • ট্র্যাভেল
      • প্রশ্ন ও উত্তর
      • প্রবাসী খবর
      • আজকের রাশিফল
      • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
      • ইতিহাস
      • ক্যাম্পাস
      • ক্যারিয়ার ভাবনা
      • Jobs
      • লাইফ হ্যাকস
      • জমিজমা সংক্রান্ত
    • English
    Bangla news
    Home কবরে শোয়ানোর দিন পর্যন্ত আমি ওর সঙ্গে ছিলাম
    Default

    কবরে শোয়ানোর দিন পর্যন্ত আমি ওর সঙ্গে ছিলাম

    October 29, 20245 Mins Read

    জুমবাংলা ডেস্ক : খ্যাতিমান গীতিকার, সুরকার ও সংগীত পরিচালক মিল্টন খন্দকার। তার গান গেয়ে খ্যাতি পেয়েছেন মনির খান, মনি কিশোরের মতো শিল্পীরা। সদ্যপ্রয়াত কণ্ঠশিল্পী মনি কিশোর ছিলেন তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু। মনি কিশোরের স্মৃতিচারণসহ সমসাময়িক নানান প্রসঙ্গে জাগো নিউজের সঙ্গে কথা বলেন মিল্টন খন্দকার। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মিজানুর রহমান মিথুন। সেই সাক্ষাৎকারটি এখানে তুলে ধরা হলো-

    মিথুন: কেমন আছেন?
    মিল্টন খন্দকার: এই মুহূর্তে শারীরিক অবস্থা তেমন একটা ভালো নেই। কয়েকদিন ধরে জ্বর ছিল। এখন একটু কমেছে। কয়েকদিন আগে আমার প্রিয় বন্ধু কণ্ঠশিল্পী মনি কিশোরের অপ্রত্যাশিত চলে যাওয়া মনটাকে ভীষণ ভার করে রেখেছে।

    মিথুন: গান করছেন না?
    মিল্টন খন্দকার: ভালো-মন্দ যেভাবেই থাকি, গান নিয়ে থাকি। কারণ গান ছাড়া তো আর কিছু পারি না। জীবনে আর কিছু শিখিনি। হাতে বেশ কিছু গানের কাজ আছে। শরীর খারাপ, অন্য কিছু কাজে ব্যস্ততার কারণে গানগুলো শেষ করতে পারিনি। নতুন কিছু গানের ব্যাপারে বেশ কয়েকজন যোগাযোগ করেছেন। তাদের সময় দিতে পারছি না। একটু সুস্থ হলেই কাজগুলো শেষ করে ফেলব।

    মিথুন: সদ্যপ্রয়াত কণ্ঠশিল্পী মনি কিশোর আপনার বন্ধু ছিলেন। তার অনেক শ্রোতাপ্রিয় গান আপনি করেছেন। তার সঙ্গে কীভাবে পরিচয় হয়েছিল?
    মিল্টন খন্দকার: যতদূর মনে পড়ে মনি কিশোরের সঙ্গে ১৯৮৮ সালে স্টেডিয়াম মার্কেটে বেতার জগত নামের একটি দোকানে প্রথম কথা হয়েছিল। সেখানে মনি কয়েকটি গান নিয়ে এসেছিল ক্যাসেট করবে বলে। দেখলাম ছেলেটা অনেক ভালো গায়, কণ্ঠটা দারুণ। সেই থেকে যখন যেখানে সুযোগ পেয়েছি, ওকে কাজে লাগিয়েছি। পরিচয়ের দিন থেকে কবরে শোয়ানোর দিন পর্যন্ত আমি ওর সঙ্গে ছিলাম।

    মিথুন: মনি কিশোরের অনেক জনপ্রিয় গান আপনি করেছেন। আপনার করা তার গাওয়া কয়েকটি গানের কথা বলবেন?
    মিল্টন খন্দকার: সংগীতজীবনে আমি সবচেয়ে বেশি করেছি মনি কিশোরের অ্যালবাম। ওর প্রায় ১৪টি অ্যালবাম করেছি অামি। মনি কিশোরের হিট গানের মধ্যে বেশির ভাগই আমার করা। এই তো কিছুক্ষণ ধরে ‘তুমি শুধু আমারই জন্য’, ‘মুখে বল ভালোবাসি’, ‘ঘরের খোঁজে ঘর হারাইলাম’ গানগুলো শুনছিলাম, এর মধ্যে আপনার ফোন পেলাম।

    মিথুন: মৃত্যুর পর তার ধর্মান্তরিত হওয়ার বিষয়টি সামনে আসে। বিষয়টি নিশ্চয়ই আপনি আগেই জানতেন?
    মিল্টন খন্দকার: জানতাম। মনি কিশোর ১৯৯৪ সালে একজন মুসলিম মেয়েকে বিয়ে করার সময় ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিল। সেসময় তার নাম রাখা হয়েছিল ‘মনি মহম্মদ’। সেই মনি মহম্মদ নাম ধারণ করেই সে এতকাল বেঁচে ছিল। মনি কিশোর ছিল তার পোশাকি নাম। এই নামে সে শ্রোতাদের কাছে পরিচিতি পেয়েছিল। তাই এই নামেই সে সবার কাছে পরিচিত ছিল। এ নিয়ে কেউ কখনও কোনো প্রশ্ন করেনি।

    মিথুন: তার দাফন নিয়ে তো বেশ জটিলতা হলো।
    মিল্টন খন্দকার: জটিলতা নয়, আমি বলবো ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। মনির পরিবারের সবাই মনে করেছিল, যেহেতু ও মুসলান হয়েছে, সেহেতু তার মুসলিম রীতিতেই দাফন হবে। মনির ভাইয়ের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, তাহলে আপনারা তাকে কীভাবে দাফন করবেন? তখন তিনি বললেন, আমরা মুসলিম রীতিতে দাফন করে অভ্যস্ত নই, আপনারা যেভাবে বলবেন সেভাবেই হবে। এ আলোচনার মধ্যে মনি কিশোরের ভাইকে হয়তো কেউ একজন বলেছিলেন, তাহলে আপনারা আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামে দিয়ে দেন। এ প্রস্তাবে মনির ভাই রাজিও হয়েছিলেন। কিন্তু তিনি জানতেন না যে, আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলাম হচ্ছে বেওয়ারিশ লাশ দাফন করে। এটা জানার পর তার তার ভাই বললেন না, তাহলে তো হবে না। আমরা স্বজনরা তো আছি। কিন্তু এর মাঝেই গণমাধ্যমে দাফন নিয়ে বিভিন্ন ধরনের সংবাদ প্রকাশিত হতে শুরু করে। ফলে দাফন নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়। তখন এ নিয়ে নেতিবাচক কথা উঠতে পারে মনে করে প্রশাসন চাইলো একটা সঠিক সিদ্ধান্তে আসতে। তারপর তার দাফন হবে। এরপর মনি কিশোরের মেয়ে নিন্তি চৌধুরী আমেরিকা থেকে সব কাগজপত্র পাঠিয়েছে। তারপর দুই পক্ষের কাছ থেকে অনাপত্তিপত্র নিয়েছে প্রশাসন, এরপর রামপুরা থানার ওসি আতাউল সাহেবের ঐকান্তিক সহযোগিতায় মনি কিশোরের মরদেহ আমরা দ্রুত পেয়েছি। যার ফলে আমরা দাফনের কাজটি দ্রুত করতে পেরেছি। এ জন্য ওসি আতাউল সাহেবকে ধন্যবাদ জানাই। আমাদের সবার চেষ্টা ছিল দাফনের পর এ নিয়ে যেন কোনো অভিযোগ না ওঠে। কেউ যেন কোনো প্রশ্ন না তুলতে পারে। সেই কারণে যথাযথ কাজগপত্র সংগ্রহ করতে গিয়ে দাফন করতে একটু সময় লেগেছে।

    মিথুন: আপনি তার বিয়ের সময় উপস্থিত ছিলেন?
    মিল্টন খন্দকার: না, ওর বিয়ের সময় আমি কলকাতায় এক শিল্পীর গানের রেকর্ডিংয়ে ছিলাম। মনির ধর্মান্তরিত হওয়ার খবরটি সেসময় দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকায় ছাপা হয়েছিল। আমি সেই পত্রিকাটি সংগ্রহ করেছিলাম। আমার কাছে সেটি এখনো সংরক্ষিত আছে।

    মিথুন: আপনি দায়িত্ব নিয়ে মনি কিশোরের জানাজা ও দাফনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ছিলেন। কীভাবে কী করলেন?
    মিল্টন খন্দকার: যেহেতু মনি কিশোর হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ ছিল এবং সে মুসলিম হয়েছে, বিষয়টি সবাই জানে। ফলে মনি কিশোরের আত্মীয়-স্বজন, ভাই-বোনদের এ নিয়ে কোনো সমস্যা নেই। সে ক্ষেত্রে মুসলিম কায়দায় কীভাবে দাফন-কাফন হবে তা তার ভাই-বোনদের জানা নেই। ফলে বিষয়টি নিয়ে তারা এগোতে পারছিল না। কারণ দাফনের বিষয়টি নিয়ে কীভাবে কী করবে, কোথায় ভুল হবে, কোথায় দোষ হবে… মোটকথা তারা সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছিল। এরপর যখন আমি পত্রিকায় দেখলাম মনি কিশোরের লাশ আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামে দেওয়া হবে এবং তারা দাফন করবে, তখন আমি খুব কষ্ট পেলাম। ভাবলাম আমার বন্ধু! আমি বেঁচে থাকতে আমার বন্ধুর লাশ বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন হবে! তখন আমি নিজ উদ্যোগে মনি কিশোরের স্ত্রীর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করলাম। মনি কিশোরের ভাইদের সঙ্গে যোগাযোগ করলাম। দুই পক্ষের মধ্যস্থতা করে আমি দাফন-কাফনের কাজটি সম্পন্ন করেছি। কেউ আসলে দাফন-কাফনের কাজের ব্যাপারে এগুচ্ছিল না। আমি একটু সাহস করে এগিয়েছি। আমি চেয়েছি আমার বন্ধুর যথাযথ মর্যাদায় শেষ বিদায়টা হোক। দাফন হোক। সেই তাগিদ থেকেই আমি সেখানে গিয়েছি।

    মিথুন: আমাদের অনেক খ্যাতিমান মানুষের সন্তানেরা দেশের বাইরে। দেখা যাচ্ছে শেষ বিদায়ের সময় তাদের পাশে কেউ থাকছে না। এই বাস্তবতা আপনার কাছে কেমন?
    মিল্টন খন্দকার: আমার নিজেরও দুই সন্তান ফ্রান্সে থাকে। এটা আমাদের এক ধরনের বাস্তবতা। আমরা কিন্তু সবাই ভেতরে ভেতরে চাই আমাদের সন্তানরা যেন একটু ভালো থাকে, একটু সুস্থ থাকে, সুন্দর থাকে। সেকারণে আমরা উচ্চশিক্ষার জন্য তাদের বিদেশে পাঠাতে চেষ্টা করি। এটা বাস্তবতা। যদি মনি কিশোরের কথা বলি, এটি একদম ব্যতিক্রম ঘটনা। মনির একটি মাত্র মেয়ে। সে আমেরিকায় পাড়াশোনা করছে। ওর পরীক্ষা চলছে। পরীক্ষার কারণে ও আসতে পারেনি। বাবার মৃত্যুর খবর পেয়ে ও সবসময় আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছে। বাবার দাফনের ব্যাপারে সব ধরনের সহযোগিতা করেছে। দাফনের জন্য আমার নামে সম্মতিপত্র দিয়েছে। মনির মেয়ে যদি কাগজপত্র সঠিক সময়ে না পাঠাতো, তাহলে আমরা দ্রুত পুিলশের কাছ থেকে মরদেহ আনতে পারতাম না। দ্রুত দাফনও দিতে পারতাম না।

    মিথুন: মনি কিশোর জীবনের শেষ দিকে একা হয়ে পড়েছিলেন। আপনি কি জানতেন সেটা?
    মিল্টন খন্দকার: জীবনের শেষ দিকে নয়, বিবাহবিচ্ছেদের পর থেকে মনি কিশোর ১৮ বছর একাকী জীবনযাপন করেছে। একা বাসা ভাড়া নিয়ে থেকেছে। আমার সঙ্গে তার সবসময়ই যোগাযোগ ছিল। বিভিন্ন গানের অনুষ্ঠানে আমাদের দেখা হতো।

    মিথুন: সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
    মিল্টন খন্দকার: আপনাকেও ধন্যবাদ।

    ‘আমি জামায়াত করি, ছেলে ছাত্রলীগে পদধারী ছিল জানতাম না’

    জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
    default আমি ওর কবরে ছিলাম দিন পর্যন্ত শোয়ানোর সঙ্গে
    Related Posts
    কাবিননামা ছাড়াই ডিভোর্স

    কাবিননামা ছাড়াই ডিভোর্স: আইন ও শরীয়তের দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরা হলো

    May 9, 2025
    পাকিস্তানি জনতা

    প্রিয়জনের মৃত্যুর প্রতিশোধে পাকিস্তানি জনতার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধবিদ্যা

    May 9, 2025
    আজকের আবহাওয়ার খবর

    আজকের আবহাওয়ার খবর: জেলায় ৬০ কিমি বেগে ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস

    May 8, 2025
    সর্বশেষ সংবাদ
    যুক্তরাষ্ট্র
    পাক-ভারত যুদ্ধ যেন পারমাণবিক যুদ্ধে পরিণত না হয়: যুক্তরাষ্ট্র
    জুমার নামাজের ফজিলত
    জুমার নামাজের ফজিলত সীমাহীন, না পড়লে যে শাস্তি
    জনগণের ঐক্যের আহ্বান
    আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ: জনগণের ঐক্যের আহ্বান
    এরদোগান
    উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের পক্ষে যে বার্তা দিলেন এরদোগান
    তারেক রহমান
    তারেক রহমানের সঙ্গে সিঙ্গাপুর বিএনপি নেতাকর্মীদের সাক্ষাৎ
    কুয়াকাটায় যুবদল নেতা বহিষ্কার
    কক্সবাজার হোটেলে পর্যটকের টাকা ছিনতাই: যুবদল নেতাকে বহিষ্কার
    এনসিপি আন্দোলন
    শীর্ষ রাজনৈতিক সঙ্কটে এনসিপির চূড়ান্ত আহ্বান: ঢাকায় সমবেত হোন সবাই
    আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ
    রাবিতে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত
    আবহাওয়ার পূর্বাভাস
    আবহাওয়ার পূর্বাভাস: দেশজুড়ে তীব্র তাপপ্রবাহ, বৃষ্টির অপেক্ষা
    চীন সরকারের উপহারের হাসপাতাল পঞ্চগড়ে চান ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার
    • About Us
    • Contact Us
    • Career
    • Advertise
    • DMCA
    • Privacy Policy
    © 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.