লাইফস্টাইল ডেস্ক : চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপার্টমেন্ট অব বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকিউলার বায়োলজির অধীনে পরিচালিত ‘ল্যাবরেটরি অব ইউকারেউটিক জিন এক্সপ্রেশন অ্যান্ড ফাংশন’ এবং চিটাগাং রিসার্চ ইনস্টিটিউট ফর চিলড্রেন সার্জারি (ক্রিকস) যৌথভাবে এক সমীক্ষা চালায়।
দক্ষিণ চট্টগ্রামের মানুষের অতিরিক্ত ঝাল খাওয়ার প্রবণতা ও উপকূলীয় মানুষের শুটকি খাওয়ার কারণে ক্যান্সার বেশি হচ্ছে বলে সমীক্ষায় ধারণা প্রকাশ করা হয়েছে।
বাংলাদেশে বছরে অন্তত দুই লাখ মানুষ ক্যান্সার আক্রান্ত হন। আর চট্টগ্রামে বছরে অন্তত ৫০ হাজার মানুষ ক্যান্সার আক্রান্ত হন। তার মধ্যে মহিলারা জরায়ু এবং ব্রেস্ট ক্যান্সারে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। অপরদিকে পুরুষরা ফুসফুস এবং মলদ্বারের ক্যান্সারে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন।
দক্ষিণ চট্টগ্রাম এবং বৃহত্তর কক্সবাজার এলাকায় ব্রেস্ট, জরায়ু এবং খাদ্যনালীর ক্যান্সারের রোগী বেশি পাওয়া যাচ্ছে। সমীক্ষায় প্রকাশ করা হয় ডিটিটিযুক্ত শুঁটকি ও অতিরিক্ত ঝাল মরিচ এর প্রধান কারণ।
কাতার বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় বলা হয়েছে, অতিরিক্ত ঝাল খাওয়ার কারণে জিহ্বার স্বাদকোষগুলো নষ্ট হয়ে যায়। অত্যন্ত ঝাল খাওয়ার অভ্যাস স্মৃতিলোপ ঘটাতে পারে এবং অ্যালঝেইমার্স রোগের সম্ভাবনাও দেখা দেয়।
এপেন্ডিসাইটিস হওয়ার মূল কারণ অতিরিক্ত ঝাল, এটি খাদ্যনালী সংকুচিত করে খাদ্যনালীর প্রাচীর ক্ষতিগ্রস্ত করে যার ফলে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মাত্রাতিরিক্ত ঝাল খেলে একটা সময়ের পরে খাবার আর হজম হতে চায় না এবং পরবর্তীতে পাকস্থলীতে সমস্যা দেখা দিতে পারে।
তাই আসুন সুস্থ, সুন্দর ও স্বাভাবিক জীবনযাপনের জন্য আমরা খাদ্যাভাস পরিবর্তন করি এবং অতিরিক্ত ঝাল মরিচ গুঁড়া পরিহার করে কম ঝালের মরিচ গুঁড়া খাওয়ার অভ্যাস করি।
বি. দ্র. যাদের বেশি ঝাল খাওয়ার অভ্যাস তারা রান্নায় কাঁচা মরিচ ব্লেন্ড করে খেতে পারেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।