জুমবাংলা ডেস্ক : খুচরা বাজারে রমজানের ভোগ্যপণ্য বেচাকেনা শুরু হয় পবিত্র শবেবরাতের পরদিন থেকেই। এরই মধ্যে পাইকারি বাজার থেকে এসব পণ্য কিনে মজুদ করেছেন খুচরা দোকানিরা। বিক্রি শুরুর প্রস্তুতি নিচ্ছেন তাঁরা। চট্টগ্রামের দুটি খুচরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পবিত্র রমজান মাস শুরুর আগে চাল ও ডালের দাম বেড়েছে।
এর মধ্যে ডালের দাম বেড়েছে কেজিতে ২০ টাকা আর চিকন চালের দাম বেড়েছে কেজিতে দুই-তিন টাকা। তবে চিনিগুঁড়া চালের দাম বেড়েছে কেজিতে ৮-১০ টাকা। রমজানের প্রয়োজনীয় পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১৭ টাকা কমেছে, বোতলজাত তেল আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে, চিনিও একই দামে বিক্রি হচ্ছে।
কাজীর দেউড়ির খুচরা বাজারে মোটা চালের দাম বাড়েনি, আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। মানভেদে কেজি ৪৮-৫০ টাকা। তবে চিকন চালের দাম বেড়েছে কেজিতে দুই টাকা পর্যন্ত। নাজিরশাইল চাল বিক্রি হচ্ছে কেজি ৭৫ টাকা, গত সপ্তাহে ছিল ৭৩ টাকা।
জানতে চাইলে কাজীর দেউড়ির হক ভাণ্ডার স্টোরের অন্যতম মালিক মিজানুর রহমান বলেন, ‘আগে ৫০ কেজির বস্তাভর্তি নবাব চিনিগুঁড়া চাল কিনতাম ৪৭০০ টাকায়, এক দিন আগে কিনেছি পাঁচ হাজার ১০০ টাকায়। কেজিতে বেড়েছে ৮-১০ টাকা পর্যন্ত। কী কারণে এত দাম বাড়ল জানি না। তবে চিকন চালের দাম কেজিতে বেড়েছে দুই-তিন টাকা। মোটা চালের দাম কিন্তু বাড়েনি। ’
খুচরা বাজারে গত সপ্তাহে কেজিপ্রতি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছিল ৫৫ টাকা পর্যন্ত। ভারতের পাশাপাশি মিয়ানমার থেকে প্রচুর পেঁয়াজ আমদানি হওয়ায় দাম কমেছে।
রমজান ঘিরে ডালের একটি ভালো চাহিদা থাকে দেশে। চিকন ডালের দাম কেজিতে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। গত সপ্তাহে ভালো মানের চিকন ডাল কেজিতে খুচরা বিক্রি হয়েছিল ১১৫ টাকায়, এখন সেই ডাল বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ টাকায়। তবে মোটা ডাল আগের মতোই কেজি ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে খুচরায়।
ভোজ্য তেল নিয়ে অস্থিরতা কমেছে পাইকারি ও খুচরা বাজারে। আন্তর্জাতিক বাজারে সয়াবিন ও পাম তেলের বুকিং দর কমেছে অনেক। একই সঙ্গে সরকার তিন ধরনের ভ্যাট কমিয়েছে। আর ভোজ্য তেল পরিশোধনকারী বড় কারখানাগুলো তদারকি করায় পাইকারিতে খোলা সয়াবিন ও পাম তেলের দাম কমেছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।