কমছে না ভিড়, বাড়ছে রোগী

জুমবাংলা ডেস্ক : রাজধানীর পরই দেশে সবচেয়ে বেশি নভেল করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী নারায়ণগঞ্জে। প্রায় প্রতিদিনই এ জেলায় আক্রান্তের পাশাপাশি প্রাণহানি বাড়ছে। তবে সংক্রমণ রোধে ৭ এপ্রিল থেকে লকডাউনে থাকা এ জেলায় এখনো স্বাস্থ্যবিধি মানছে না অনেকে। নগরীসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টেও দেখা যাচ্ছে সাধারণ মানুষ ও যানবাহনের স্বাভাবিক চলাচল। আর বাজারে দেখা গেছে রীতিমতো উপচে পড়া ভিড়। এ অবস্থা চলতে থাকলে নারায়ণগঞ্জে নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে না বলে আশঙ্কা করছেন স্বাস্থ্যবিদরা।

জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৪১ জন নতুন করে নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। আর মৃত্যু হয়েছে দুজনের। এ নিয়ে জেলায় মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৯, আর আক্রান্ত ৬২৫ জন। আক্রান্তের দিক দিয়ে দেশে ঢাকা নগরীর পরই নারায়ণগঞ্জের অবস্থান। এছাড়া দেশে প্রথম যেসব এলাকায় নভেল করোনাভাইরাসের রোগী পাওয়ায় যায়, নারায়ণগঞ্জ তার একটি। সংক্রমণ এড়াতে দেশের প্রথম জেলা হিসেবে ৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়। কিন্তু এর পরও এ জেলায় নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও প্রাণহানি দিন দিন বাড়ছে।

জেলা সিভিল সার্জন ইমতিয়াজ আহমেদ জানান, নারায়ণগঞ্জে প্রতিদিনই সংক্রমণ বাড়ছে। আমাদের কন্ট্রোল রুমে প্রতিদিনই করোনার উপসর্গ নিয়ে বাড়িতে অবস্থান করা অনেক রোগীর এসএমএস পাচ্ছি। অবস্থাই এমন যে, দুটি টিম দিয়ে এত রোগীর নমুনা কালেকশন করা সম্ভব হচ্ছে না। আমরা স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে আরো ২০ জন মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যাট ও টেকনিশিয়ান চেয়ে আবেদন করেছি। কিন্তু ঢাকা থেকে এখনো লোকবল পাঠানো হয়নি। জনবল সংকটের কারণে আমাদের অনেক বেগ পেতে হচ্ছে। সিভিল সার্জন অফিস ও সিটি করপোরেশন যৌথভাবে গড় ১৮০ থেকে ২০০ জনের নমুনা কালেকশন করে ঢাকা আইইডিসিআরে পাঠাচ্ছে পরীক্ষার জন্য।

এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. জসিম উদ্দিন জানান, নারায়ণগঞ্জের সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে প্রতিদিনই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাজ করছেন। র্যাব, পুলিশ, সেনাবাহিনীসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী

বাহিনী কাজ করছে। কিন্তু মানুষের মধ্যে সচেতনতার অভাব রয়েছে।

নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম বলেন, নগরীর দ্বিগুবাবুর বাজারের যে পাইকারি আড়ত রয়েছে সেগুলো রেখে কাঁচাবাজার ও মাছ বাজার অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার জন্য সিটি করপোরেশনসহ জেলা প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। আগামী দু-একদিনের মধ্যে সেটি বাস্তবায়ন করা হবে।