রাজশাহীর বাজারগুলোতে চীন দেশীয় চায়না রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা। অন্যদিকে বাংলাদেশে উৎপাদন হওয়া দেশী রসুন বিক্রি হচ্ছে মাত্র ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজিতে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, আকার ও খোসা ছড়ানোর সুবিধার্থে চায়না রসুনের চাহিদা বেশি এবং দেশীয় রসুন শুকিয়ে নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারণে আগ্রহ কমছে ক্রেতাদের।
এছাড়া সপ্তাহ ব্যবধানে কমেছে ডিম ও মুরগির দাম। বাজারে দেখা মিলেছে বেশ কিছু শীতকালীন সবজি। এরমধ্যে রয়েছে, টমেটো, ফুলকপি, গাজরসহ বিভিন্ন সবজি। ফুলকপির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা ও পাতাকপি দশ টাকা কমে ৯০ টাকা দরে বিক্রি হলেও আজ তা ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট ২০২২) বিকেলে রাজশাহীর বিভিন্ন এলাকার বাজার ঘুরে এসব চিত্র উঠে এসেছে। বাজারে লাল ডিমের দাম কমে ডজন বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১৮০ টাকা। হাঁসের ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকায়। দেশি মুরগির ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকা।
রাজশাহীর সাহেববাজারের সবজি বিক্রেতা সাইফুল ইসলাম এগ্রিকেয়ার২৪.কমকে বলেন, চায়না রসুনের দাম ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা। আগে এই রসুন বিক্রি হয়েছে ১২০টাকা কেজি। দেশী রসুন বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি। দেশী রসুন কিনতে চায় না, চাহিদা নাই।
কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, দেশী রসুনের কোয়া ছোট এবং আঁশ বেশি। ছাল ছাড়ানো অনেকটা ঝামেলার কিন্তু আমদানি করা চায়না রসুন আকারে বড় হওয়ায় ছাল ছাড়াতে সুবিধা। দেশীয় রসুন শুকিয়ে নষ্ট হয়ে যাওয়ার সমস্যা থাকে। বাজরে দু-চার জনের কাছে আছে। তবে, বিক্রি বেশি চায়না রসুনের।
বাজারের ডিম বিক্রেতা রহিম উদ্দীন বলেন, ডিমের দাম কমেছে। ডিমের দাম বাড়ার কারণে ক্রেতা কমেছিল। এখন আবার বিক্রি বেড়েছে। বাজারে কমেছে মুরগির দাম। ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬৫ থেকে ১৭০ টাকায়। সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৭০ থেকে ২৮০ টাকা। সাতদিন আগেও বিক্রি হয়েছিল ২৯০ টাকা কেজি। লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৩০ থেকে ২৪০ টাকায়।
একই বাজারের মুরগি বিক্রেতা ফারুক বলেন, বাজারে সিন্ডিকেটের কারণে মুরগির দাম বাড়ছে-কমছে। শুধু মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে ২০০ টাকার ব্রয়লার এখন বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকা। লেয়ার মুরগির দাম কেজিতে কমেছে ২০ টাকা।
সবজি বাজারে গিয়ে দেখা যায়, শসা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা। লম্বা বেগুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা আর গোল বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৫০ টাকা কেজি।
প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৯০ থেকে ২০০ টাকা দরে, লাউ প্রতি পিস ২৫ টাকা, শশা প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৭০ টাকা, বেগুন ৬০ টাকা, ঝিংগা ৪০ টাকা, কাঁকরোল ৫০ টাকা, পটল ২৫ থেকে ৩০টাকা, ঢেঁড়শ ৩০ টাকা, বরবটি ৮০টাকা, পেঁপে ১৫ থেকে ২০ টাকা, কচুর লতি ৫০ টাকা, লাল গোল আলু ৩০ টাকা এবং ডায়মন্ড আলু ২৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
চাল কুমড়া পিস ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া কেজি ৩০ টাকা, পেঁয়াজ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪৫ টাকা ও কাঁচকলার হালি ২৫ থেকে ৩০ টাকা। মূলা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা দরে।
ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি হওয়ার কারণে পেঁয়াজের দাম কমেছে। ক’দিন দাম বাড়তি থাকলেও ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে দেশী পেঁয়াজ। যার কেজিতে কমেছে ৫ টাকা। অন্যদিকে ৪০টাকা কেজির ভারতীয় নাসিক জাতের পেঁয়াজ ৩৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
সবজি বিক্রেতা হাসান আলী বলেন, বাজারে সবজির আমদানি কম থাকায় দাম বাড়ছে-কমছে। এখনও দাম বাড়তি আছে শসা ও বেগুনের। এসব বাজারে কাঁচামরিচ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা। কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। পেঁপে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা। লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ৮ থেকে ১০ টাকা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।