আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় শহর দিনিপ্রর একটি ফ্ল্যাট বাড়িতে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় কমপক্ষে ২১ জন বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে। ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা বলেছেন, গত কয়েক মাসের মধ্যে রাশিয়ার শনিবারের হামলা ছিল ভয়াবহতম।
ইউক্রেনকে যুক্তরাজ্যের ট্যাংক সরবরাহের ঘোষণা দেওয়ার পরই ওই হামলা হলো। শনিবার রাজধানী কিয়েভ, খারকিভ, ওডেসাসহ ইউক্রেনজুড়ে হামলা হয়েছে। এর আগেই ইউক্রেনের সোলেদার অঞ্চলে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার দাবি করে রাশিয়া।
নতুন রুশ হামলার পর আরো একবার বিদ্যুত্ সরবরাহ ব্যবস্থায় বিপর্যয় নেমে এসেছে। বেশ কিছু বেসামরিক স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর আগে সর্বশেষ দুই সপ্তাহ আগে ইউক্রেনজুড়ে রুশ হামলা হয়েছিল।
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকেও নিশ্চিত করা হয়েছে যে তারা ইউক্রেনে শনিবার ব্যাপক হামলা চালিয়েছে। তবে বেসামরিক বাসভবনের মতো স্থাপনাকে কেন লক্ষ্যবস্তু করা হলো, সে বিষয়ে কিছু বলা হয়নি।
রুশ হামলার পর দিনিপ্র শহরের ইউক্রেনীয় গভর্নর ভ্যালেন্টাইন রেজনিচেংকো জানান, নিহতদের মধ্যে একটি ১৫ বছর বয়সী কিশোর ছিল। এ ছাড়া ৪০ জন তখন পর্যন্ত নিখোঁজ ছিল।
দিনিপ্র শহরে হামলা সম্পর্কে ইউক্রেনের বিমান বাহিনীর একটি সূত্র দাবি করেছে, শনিবার রাশিয়া সোভিয়েত আমলে তৈরি করা ‘কেএইচ-২২’ ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে শহরের আবাসিক ভবনটিতে হামলা চালিয়েছে। কুরস্ক এলাকা কিংবা আজভ সাগর থেকে এসব ছোড়া হয়েছে। ক্ষেপণাস্ত্রটি বেশ পুরনো ধরনের হলেও বেসামরিক লক্ষ্যে রাশিয়ার বাহিনী এটি ব্যবহার করল।
এর আগে যুক্তরাজ্য জানায়, তারা ইউক্রেনকে ‘চ্যালেঞ্জার২’ ট্যাংক সরবরাহ করবে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক বলেন, চ্যালেঞ্জার হচ্ছে ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর প্রধান যুদ্ধ ট্যাংক, যা ‘রুশ সেনাদের পরাস্ত করতে’ কিয়েভকে সহায়তা করবে।
প্রতিবেশী পোল্যান্ড ছাড়াও ফ্রান্সসহ কয়েকটি পশ্চিমা দেশ ইউক্রেনকে ট্যাংক সরবরাহের অনুরোধে সম্প্রতি ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে। জার্মানিও একই পথে হাঁটবে বলে মনে করা হচ্ছে। আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি যুদ্ধের বর্ষপূর্তির আগেই ন্যাটো সামরিক জোটের সদস্যদের সরবরাহ করা ট্যাংক ইউক্রেনে যেতে পারে।
রাশিয়া এর প্রতিক্রিয়ায় দাবি করেছে, ইউক্রেনের কাছে আরো পশ্চিমা অস্ত্র যাওয়ার অর্থ হচ্ছে সেখানে রুশ অভিযানের তীব্রতা বাড়বে। এর মাধ্যমে বেসামরিক ক্ষয়ক্ষতিও বাড়বে।
এদিকে শনিবার ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, পশ্চিমারা তাঁদের অস্ত্র সরবরাহ করলে রাশিয়ার হামলা বন্ধ হতে পারে। তিনি দাবি করেন, শনিবার ইউক্রেনীয় বাহিনী ৩০টির মধ্যে ২০টি ক্ষেপণাস্ত্রই ঠেকিয়ে দিয়েছে। সূত্র : বিবিসি, আলজাজিরা
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।