জুমবাংলা ডেস্ক : যে ব্যক্তি কর দেয়ার উপযুক্ত হয়েও সরকার বা রাষ্ট্রকে কর দিচ্ছে না, তাকে দুর্নীতিবাজ আখ্যায়িত করে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, ‘কর ফাঁকিবাজদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে। কর কর্মকর্তাদের পাশাপাশি আমরাও কর ফাঁকিবাজদের খুঁজে বের করব।’ খবর বাসসের।
রোববার রাজধানীর শান্তিনগর বিসিএস কর একাডেমিতে দুর্নীতি দমন কমিশন কর্মকর্তাদের ‘আয়কর আইন ও বিধানাবলী সংক্রান্ত বিশেষ প্রশিক্ষণ কোর্স’ ও ‘উপকর কমিশনারগণের রিফ্রেশার্স প্রশিক্ষণ কোর্স’এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সদস্য (কর প্রশাসন) আরিফা শাহানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে এনবিআর সদস্য মো. আলমগীর হোসেন, দুদক মহাপরিচালক এ কে এম সোহেল ও বিসিএস কর একাডেমির মহাপরিচালক লুৎফুল আজিম বক্তব্য রাখেন।
ইকবাল মাহমুদ বলেন,‘দুদক কর আদায়ের কাজ করে না সত্য। কিন্তু যারা কর ফাঁকি দিচ্ছে তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার কাজ করছে। আমাদের স্পষ্ট ঘোষণা, যারা কর ফাঁকিবাজ, তাদের শাস্তি দিতে হবে। এজন্য এনবিআরের সহযোগিতা জরুরি। কর ফাঁকিবাজদের তথ্য দুদকে জানালে সমন্বিত উদ্যোগের মাধ্যমে শাস্তি দেয়া সম্ভব।’
তিনি বলেন, কর ফাঁকিবাজদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দুদক কর্মকর্তাদের কর আইন সম্পর্কে সম্যক ধারনা থাকা প্রয়োজন। এ জন্য প্রথমবারের মত দুদক কর্মকর্তাদের কর আইনের বিষয়ে প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়েছে।
দুদক চেয়ারম্যান করের আওতা সম্প্রসারণে দেশের প্রত্যেক নাগরিকের কর শনাক্তকরণ নম্বর বা কর ফাইল খোলার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, জাতীয় পরিচয় পত্রধারী প্রত্যেকের আয়কর ফাইল থাকা উচিত। আয়কর ফাইল থাকলে সবাইকে কর দিতে হবে, এমন কিন্তু নয়। যিনি করযোগ্য তিনিই কেবল কর দেবেন।
বাংলাদেশে কর্মরত অনেক বিদেশি কর ফাঁকি দিচ্ছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, উন্নয়ন প্রকল্পসহ বেসরকারিখাতের বিভিন্ন পর্যায়ে বিদেশিরা কাজ করছেন। কিন্তু তারা যথাযথভাবে কর দিচ্ছেন না। তারা আমার দেশের জনগণের টাকা ফাঁকি দিয়ে তার দেশে নিয়ে যাচ্ছে। এটি বন্ধ করতে হবে। এর জন্য তিনি বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা), ইমিগ্রেশন বিভাগ ও রাজস্ব কর্তৃপক্ষকে সমন্বিতভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।
১৬ কোটি মানুষের দেশে মাত্র ১২ লাখ মানুষ কর দিচ্ছেন, এটি জাতীয় লজ্জার বিষয় উল্লেখ করে দুদক চেয়ারম্যান কর কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্য বলেন, ঢাকা ও চট্টগ্রাম শহরে বাড়ী ও ফ্ল্যাট মালিকের সংখ্যা কত। এটি বের করুন। ট্রেড লাইসেন্সধারীর তথ্য নিন। তাহলে দেখবেন করদাতার সংখ্যা অনেক বেড়ে গেছে।
তিনি বলেন, কর-জিডিপি অনুপাত বাড়াতে না পারলে দেশে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করা যাবে না।
পাঁচ দিনব্যাপি প্রশিক্ষণ কর্মশালায় ৩৫ জন দুদক কর্মকর্তা ও ২৫ জন কর কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।