জুমবাংলা ডেস্ক: করোনার নমুনা পরীক্ষা দিয়ে জনবহুল স্থানে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করাসহ উপজেলা অফিসে অবাধ যাতায়াত করেছেন আগৈলঝাড়ার এসিল্যান্ড নেহের নিগার তনু। তার এমন কার্যকলাপে আতঙ্ক বিরাজ করছে উপজেলা পরিষদ কর্মকর্তা কর্মচারীসহ ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনাকারীদের মাঝে।
মঙ্গলবার ( ৬ জুলাই) দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আবুল হাশেম জানান, উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) নেহের নিগার তনু করোনায় আক্রান্তের খবর তাকে নিশ্চিত করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএইচএএফপিও) ডা. বখতিয়ার আল মামুন।
একই সঙ্গে গত সোমবার এসিল্যান্ড, তাঁর একজন ননদ ও একজন কর্মচারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনার নমুনা প্রদান করেছিলেন। পরীক্ষায় এসি ল্যান্ড বাদে তাদের দুজনের করোনা শনাক্ত হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএইচএএফপিও) ডা. বখতিয়ার আল মামুন জানান, সোমবার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের র্যাপিড এন্টিজেন টেস্টে এসিল্যান্ডের ননদ ও কর্মচারীর করোনা পজিটিভ রেজাল্ট আসে। অধিকতর পরীক্ষার জন্য এসিল্যান্ডের নমুনা হাসপাতালের জিন এক্সপার্ট মেশিনে করার জন্য বলা হয়। মঙ্গলবার জিন এক্সপার্ট মেশিনের পরীক্ষায় এসিল্যান্ড নেহের নিগার তনু করোনা সনাক্ত হয়। বর্তমানে এসিল্যান্ড নেহের নিগার তনু নিজ বাসায় আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। নমুনা পরীক্ষা দিয়ে ফলাফল না পাওয়া পর্যন্ত কারো বাড়ির বাইরে বের হওয়া উচিত নয় বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এসিল্যান্ডের করোনা আক্রান্ত হয়ে বাইরে ঘুরে বেড়ানোর খবর নিয়ে মঙ্গলবার দিনভর ছিল আগৈলঝাড়া টক অব দ্যা টাউনে। করোনার নমুনা পরীক্ষা দিয়ে এসিল্যান্ড তনু সোমবার দুপুরে পুলিশের এসআই আলী হোসেনসহ ফোর্স নিয়ে ফুল্লশ্রী গ্রামের মৃত আব্দুল লতিফ খলিফার ছেলে রাজিবের বিয়ে উপলক্ষে সাবেক ইউপি সদস্য আসাদ খলিফার বাড়িতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন।
সাবেক ইউপি সদস্য আসাদ খলিফা জানান, তার বাড়িতে এসিল্যান্ড ১টা ১৮মিনিটে প্রবেশ করে ২টা পর্যন্ত অবস্থান করেন। তার করোনা পজিটিভ হওয়ায় কারণে তিনিসহ তার পুরো বাড়ির সবাই এখন চরম করোনা ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন। এসিল্যান্ড সোমবার তার বাড়িতে অবস্থানকরাসহ উপজেলা সদর বাজার, গৈলা বাজার, ডিএসবি বাজার, কাজিরহাট বাজার, ছয়গ্রাম বাজারে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান করেন।
এ বিষয়ে নেহের নিগার তনু’র সরকারী মোবাইল নম্বর (০১৩১৮২৫৬৩৪০) বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে ইউএনও মো. আবুল হাশেম সাংবাদিকদের বলেন, প্রথম পরীক্ষায় এসিল্যান্ডের নেগেটিভ ফলাফল জানার পরে তাকে অভিযানে পাঠিয়েছিলেন তিনি। পরে দ্বিতীয় পরীক্ষায় তার করোনা শনাক্ত হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার ফলাফল নিশ্চিত না হয়ে তাকে বাইরে পাঠানো ঠিক হয়েছে কি না এমন এক প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে যান তিনি।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রইচ সেরনিয়াবাত এ প্রসঙ্গে বলেন, এসিল্যান্ড কবে যোগদান করেছেন তা তাকে জানানো হয়নি। তবে কোন ব্যক্তি করোনা ভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা দিয়ে তার ফলাফল না পাওয়া পর্যন্ত বাসা থেকে বের হওয়া ঠিক না। সরকারী কর্মকর্তা হিসেবে এটা তার দায়িত্ববোধ থাকা উচিত ছিল। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়সহ পুরো উপজেলা পরিষদ ভবন জীবাণুমুক্ত করার কথা জানান তিনি।-ইত্তেফাক
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।