
নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ এবং অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ক্রমান্বয়ে চালু করার সুবিধার্থে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, স্থাপনা ও পেশার জন্য কিছু কারিগরি নির্দেশনা প্রদান করেছে। এসব নির্দেশনা যথাযথভাবে মেনে চলতে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়।
এদিকে ঈদকে সামনে রেখে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আগামী ১০ মে (রবিবার) থেকে দোকান-শপিংমলগুলো সীমিত আকারে খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তবে এগুলো সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে। এ বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
করোনা প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে শপিংমলের জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেয়া নির্দেশনাগুলো হলো :
১. খোলার আগে মহামারি প্রতিরোধী সামগ্রী যেমন মাস্ক, জীবাণুমুক্তকরণ সামগ্রী ইত্যাদি সংগ্রহ করুন। আপদকালীন পরিকল্পনা তৈরি করুন। আপদকালীন সংক্রমিত বস্তুর ডিসপোজাল এলাকা স্থাপন করুন। সকল ইউনিটের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করুন এবং কর্মীদের প্রশিক্ষণকে জোরদার করুন।
২. কর্মীদের স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণের ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করুন। প্রতিদিন কর্মীদের স্বাস্থ্য বিষয়ক অবস্থা নথিভুক্ত করুন এবং যারা অসুস্থতা অনুভব করবে তাদের সঠিক সময়ে চিকিৎসা দেয়ার ব্যবস্থা করুন।
৩. শপিংমলে যারা ঢুকবেন তাদের তাপমাত্রা মাপার জন্য মলের প্রবেশমুখে তাপমাত্রা পর্যবেক্ষণকারী যন্ত্র স্থাপন করুন বা তাপমাত্রা পরিমাপের ব্যবস্থা রাখুন এবং শুধুমাত্র স্বাভাবিক তাপমাত্রা সম্পন্ন ব্যক্তিদের মলে ঢুকতে দিন।
৪. অফিসে বায়ু চলাচল বাড়ান। সেন্ট্রাল এয়ার কন্ডিশনার ব্যবহার করার ক্ষেত্রে এয়ার কন্ডিশনার স্বাভাবিক মাত্রায় চালান। বিশুদ্ধ বাতাস চলাচল বৃদ্ধি করুন। বের হওয়া বাতাস যেন আবার ঢুকতে না পারে সে ব্যবস্থা করুন।
৫. বারংবার সংস্পর্শে আসা সুবিধাসমূহ এবং অন্যান্য সর্বসাধারণের ব্যবহার্য সুবিধাসমূহ নিয়মিত পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত করুন (যেমন লকার, এলিভেটর বাটন, এস্কেলেটরের হাতল, বাথরুমের দরজার হাতল, জনসাধারণের জন্য ময়লার ক্যান ইত্যাদি)।
৬. এলিভেটর, তথ্যকেন্দ্র এবং সেলস এরিয়া পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন এবং ময়লা সময়মতো পরিষ্কার করুন।
৭. গণশৌচাগারগুলোতে হাত ধোয়ার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে লিকুইড সাবান (বা সাধারণ সাবান) প্রদান করুন এবং পানি সরবরাহ ব্যবস্থার সাধারণ কার্যকারিতা (কল সচল কিনা) নিশ্চিত করতে হবে।
৮. ক্রেতাদের মূল্য প্রদান ও বের হওয়ার লাইনে দাঁড়ানোর সময় নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখার কথা মনে করিয়ে দেয়ার জন্য লাইনে ১ মিটার দূরত্ব বজায় রাখার (লাইনে ১ মিটার দূরত্ব অন্তর অপেক্ষা করা) ব্যবস্থা স্থাপন করুন।
৯. মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রণ করুন এবং মলে ক্রেতার সংখ্যা সীমিত করুন।
১০. সেলফ-সার্ভিস শপিং ও স্পর্শ ব্যতিরেকে মূল্য পরিশোধকে উৎসাহিত করুন। লাইনে দাঁড়ানোর সময়কে কমিয়ে আনুন।
১১. স্টাফদের ব্যক্তিগত সুরক্ষা জোরদার করুন। মাস্ক পরতে বাধ্য করুন। হাতের হাইজিনের প্রতি লক্ষ্য রাখতে হবে এবং হাঁচি দেয়ার সময় মুখ ও নাক টিস্যু বা কনুই দিয়ে ঢাকতে হবে।
১২. ক্রেতাদের মাস্ক পরতে হবে এবং এলিভেটর ব্যবহার করার সময় একজনের থেকে আরেকজনের দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।
১৩. পোস্টার, ইলেকট্রনিক স্ক্রিন এবং বুলেটিন বোর্ডের মাধ্যমে স্বাস্থ্য জ্ঞান পরিবেশন জোরদার করুন।
১৪. যদি নিশ্চিত কোভিড-১৯ রোগী থাকে তবে স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুসারে জীবাণুমুক্ত করতে হবে। সেই সাথে একই সময়ে এয়ার কন্ডিশনিং ও ভেন্টিলেশন সিস্টেমকে পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত করতে হবে। মূল্যায়ন হওয়ার আগে তা পুনরায় চালু করা যাবে না।
১৫. মৃদু ও উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় শপিংমলগুলোকে তাদের বিজনেস আওয়ার সংক্ষিপ্ত করতে এবং ক্রেতার সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করতে বলতে হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।