খুলনা ও সিলেট প্রতিনিধি: খুলনা ও সিলেটে আজ মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) থেকে করোনাভাইরাস শনাক্তে পরীক্ষা শুরু হয়েছে।
এ জন্য ইতোমধ্যে খুলনা মেডিকেল কলেজের (খুমেক) তৃতীয় তলায় পিসিআর মেশিন স্থাপনের কাজ শেষ হয়েছে। এদিকে সিলেটে প্রস্তুত করা হয়েছে এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পলিমার্স চেইন রিঅ্যাকশন (পিসিআর) ল্যাব।
খুমেকের অধ্যক্ষ ডা. আবদুল আহাদ জানান, আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক প্রধান অতিথি হিসেবে খুমেকের মলিকুলার ল্যাবটি উদ্বোধন করেছেন।
খুমেক হাসপাতালের পরিচালক ডা. মুন্সী রেজা সেকেন্দার জানান, বিভাগের করোনা রোগীর চিকিৎসা দেওয়া হবে খুলনা ডায়াবেটিক হাসপাতালে। ইতোমধ্যে ৮০টি শয্যা প্রস্তুত করা হয়েছে।
খুমেকের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের সহকারি অধ্যাপক ডা. এস এম তুষার আলম জানান, খুলনা মেডিকেল কলেজের তৃতীয় তলায় মাইক্রোবায়োলজি বিভাগে তৈরি হয়েছে মলিকুলার ল্যাব। এরপর স্থাপন করা হয়েছে পিসিআর মেশিন। করোনা পরীক্ষার জন্য খুলনায় ৭০০ কিট পৌঁছেছে। আইইডিসিআরের টিম এসে খুলনার ৭ জন চিকিৎসককে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন।
তিনি আরও জানান, করোনা ইউনিটের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা যাদের স্যাম্পল পাঠাবেন শুধুমাত্র তাদের করোনা টেষ্ট করা হবে। একসাথে ৯০টির বেশি নমুনা পরীক্ষা করা যাবে। ৪ ঘন্টায় জানা যাবে ফলাফল।
উল্লেখ্য, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে দেয়া পিসিআর (পলিমারজ চেইন রিঅ্যাকশন) সোমবার (৩০ মার্চ) খুমেক এসে পৌঁছায়। এছাড়া গত ৪ এপ্রিল সকালে করোনা পরীক্ষার কিট খুলনায় এসে পৌঁছেছে। খুলনা মেডিকেল কলেজে স্থাপিত পিসিআর মেশিন দিয়ে সম্পূর্ণ ফ্রি পরীক্ষা করা যাবে। পিসিআরের মাধ্যমে করোনায় আক্রান্ত বলে সন্দেহভাজন রোগীর রক্ত, ঘাম ও কফ পরীক্ষা করা হবে।
এদিকে, সিলেটে এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. হিমাংশু লাল রায় বলেন, সবাইকে পরীক্ষা করা হবে না। সংশ্নিষ্ট চিকিৎসকরা যাদের সন্দেহ করবেন তাদের স্যাম্পল সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হবে।
সিলেটে করোনা সন্দেহভাজন রোগীদের নগরীর শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হচ্ছে। এখানে ১০০ শয্যার আইসোলেশন ইউনিট স্থাপন করা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।