জুমবাংলা ডেস্ক : প্রাণঘাতী করোনায়ভাইরাসের কারণে ক্রমশই বাড়ছে মৃত্যুর মিছিল। থেমে নেই বাংলাদেশও প্রতিনিয়ত বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। মহামারি করোনাভাইরাসে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও দুইজন আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৬ জনে। আর মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে পিছিয়ে গেছে এনটিআরসিএর গণবিজ্ঞপ্তিও।
গত মার্চ মাসেই ৩য় চক্রে শিক্ষক নিয়োগের গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরিকল্পনার বিষয়ে জানিয়েছিলেন এনটিআরসিএর কর্মকর্তারা। কিন্তু করোনাভাইরাস সংক্রমণরোধে দেশে এখন চলছে সাধারণ ছুটি। প্রথমে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত, পরে তা বাড়িয়ে ১১ তারিখ পর্যন্ত করা হয়েছে।
ফলে সঙ্গত কারণেই লাখ বেকারের প্রত্যাশিত গণবিজ্ঞপ্তি পিছিয়ে গেলো। এছাড়া ৩য় চক্রে শিক্ষক নিয়োগের গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশে আইনি জটিলতাও রয়েছে। জানা গেছে, ১৩তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের একক নিয়োগের চেয়ে রিট মামলা করেছিল প্রার্থীরা। সে রায়ের ১৩তম নিবন্ধনে উত্তীর্ণদের নিয়োগের রায় দিয়েছিল হাইকোর্ট। সে রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করে এনটিআরসিএ। গত ১২ মার্চ আপিল শুনানি শেষে রায়ের ওপর কিছু পর্যবেক্ষণ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
এর আগে এনটিআরসিএর কর্মকর্তারা বলেছিলেন, রায়ের ওপর পর্যবেক্ষণ দিলেও এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করেননি উচ্চ আদালত। লিখিতভাবে সে পর্যবেক্ষণ এনটিআরসিএতে আসবে। উচ্চ আদালতের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। যদিও গত ২৫ মার্চ পর্যন্ত আদালত বন্ধ ছিলো। আদালতের পর্যবেক্ষণের লিখিত কপি দেখে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে চায় এনটিআরসিএ। পর্যবেক্ষণের লিখিত কপি হাতে পাওয়ার পর গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।
এ ব্যাপারে এনটিআরসিএর একজন কর্মকর্তা জানান, দেশের এই পরিস্থিতিতে এখন গণবিজ্ঞপ্তির বিষয়ে ভাবছে না কর্তৃপক্ষ।
দেশের সাড়ে ১৯ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৫৭ হাজারের বেশি শিক্ষক পদ শূন্য রয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।