আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ব্রিটেনে কিছু শিশুর দেহে ‘খুবই বিরল কিন্তু বিপজ্জনক’ এমন কিছু উপসর্গ দেখা যাচ্ছে – যা করোনাভাইরাসের সঙ্গে সম্পর্কিত হতে পারে। খবর বিবিসি বাংলার।
ব্রিটেনের জাতীয় স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা (এনএইচএস) থেকে সারা দেশের ডাক্তারদের সতর্ক করে দেয়া হয়েছে যে, লন্ডন এবং যুক্তরাজ্যের অন্য কিছু জায়গার হাসপাতালে ইনটেনসিভ কেয়ারে অত্যন্ত অসুস্থ কিছু শিশুর চিকিৎসা করা হচ্ছে- যাদের লক্ষণগুলো খুবই অস্বাভাবিক।
এর মধ্যে আছে ফ্লু-র মতো জ্বর এবং দেহের বিভিন্ন জায়গায় প্রদাহ বা জ্বালাপোড়ার অনুভূতি। এতে আক্রান্তদের মধ্যে কিছু শিশু করোনাভাইরাস পজিটিভ বলে দেখা গেছে, তবে সবাই নয়।
কত শিশুর মধ্যে এই নতুন ধরণের লক্ষণ দেখা গেছে তা স্পষ্ট নয়, তবে এ সংখ্যা কম বলেই মনে করা হচ্ছে। জানা যাচ্ছে যে এই রোগীরা অল্পবয়স্ক – তবে নানা বয়সের।
এসব লক্ষণের মধ্যে রয়েছে- তীব্র জ্বর, রক্তচাপ কমে যাওয়া, শ্বাসকষ্ট এবং শরীরে ‘র্যাশ’ বা ফুসকুড়ি দেখা দেয়া। তাদের কারও কারও পেটে ব্যথা, বমি, ডায়রিয়া, হৃৎপিণ্ডের প্রদাহ এবং রক্ত পরীক্ষার অস্বাভাবিক ফল আসার মতো লক্ষণও দেখা যাচ্ছে।
উত্তর লন্ডনের কিছু ডাক্তারের কাছে আসা এই সতর্কবাণীতে বলা হয়, এমন উদ্বেগ বাড়ছে যে যুক্তরাজ্যের শিশুদের মধ্যে করোনাভাইরাসের সঙ্গে সম্পর্কিত এক প্রদাহজনিত রোগ ছড়াচ্ছে।
এতে বলা হয়, এমনও হতে পারে যে এটা হয়তো এমন এক সংক্রমণ যা এখনও শনাক্ত হয়নি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা যদি কোনও একটা সংক্রমণের সঙ্গে লড়াই করতে গিয়ে হার মেনে যাবার মতো অবস্থা হয়, তাহলে এ ধরনের লক্ষণ দেখা দিতে পারে।
এনএইচএসের সতর্কবাণীতে এ ক্ষেত্রে জরুরি চিকিৎসা নেবার কথা বলা হয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গুরুতর অসুস্থ হওয়া শিশুর সংখ্যা খুবই কম।
কেমব্রিজের একজন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. নাজিমা পাঠান বলেছেন, স্পেন এবং ইতালিতে থাকা তার সহকর্মীরা শিশুদের মধ্যে একই ধরনের সংক্রমণের খবর তাকে জানিয়েছেন। তবে তার কথায়, করোনাভাইরাসের সংস্পর্শে এলেও শিশুদের মধ্যে গুরুতর ফুসফুসের সংক্রমণ ঠেকানোর ক্ষমতা বেশি থাকে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।