জুমবাংলা ডেস্ক: চট্টগ্রামে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা ও হার দিন দিন বাড়ছে। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় নতুন ৩৫ জন শনাক্ত হয়েছেন। সংক্রমণের হার ২ দশমিক ৯৮ শতাংশ। এ সময় করোনায় কোনো রোগির মৃত্যু হয়নি।
চট্টগ্রামের করোনা সংক্রান্ত হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রেরিত প্রতিবেদনে এ সব তথ্য জানা যায়।
উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন ধরে করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি পরিলক্ষিত হচ্ছে। ১ জানুয়ারি ১৬ জন এবং ২ জানুয়ারি ২৩ জনের নতুন সংক্রমণ চিহ্নিত হয়। আক্রান্তের হার যথাক্রমে ১ দশমিক ৫৮ ও ১ দশমিক ৫৬ শতাংশ।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের আজকের রিপোর্টে বলা হয়, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি, এন্টিজেন টেস্ট ও নগরীর এগারো ল্যাবে গতকাল সোমবার চট্টগ্রামের ১ হাজার ১৭৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করলে নতুন ৩৫ জন পজিটিভ শনাক্ত হন। এর মধ্যে শহরের ৩৩ জন ও রাঙ্গুনিয়া উপজেলার ২ জন। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ১ লক্ষ ২ হাজার ৭১৬ জন। এর মধ্যে শহরের ৭৪ হাজার ৩৩৩ ও গ্রামের ২৮ হাজার ৩৮৩ জন।
গতকাল করোনায় শহর ও গ্রামে কারো মৃত্যু হয়নি। মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৩৩২ জনই রয়েছে। এতে শহরের ৭২৩ ও গ্রামের ৬০৯ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি শেভরনে গতকাল ৩৬৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এখানে শহরের ৭ও গ্রামের একজন জীবাণুবাহক পাওয়া যায়। ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে ২১৫টি নমুনা পরীক্ষায় শহরের ৪টিতে করোনার জীবাণু থাকার প্রমাণ মিলেছে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ৩২ জনের নমুনার মধ্যে শহরের ৩ জন শনাক্ত হন। নগরীর বিশেষায়িত কভিড-১৯ চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএলে পরীক্ষিত ৭টি নমুনার ৪টির পজিটিভ আসে।
বেসরকারি ল্যাবরেটরি ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ১৫৭ জনের নমুনায় ৫ জনের শরীরে জীবাণুর অস্তিত্ব ধরা পড়ে। মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল ল্যাবে ৫৬টি নমুনা পরীক্ষা করে শহরের একটিতে ভাইরাস পাওয়া যায়। এপিক হেলথ কেয়ারে ২৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে ৮ জনের দেহে সংক্রমণ চিহ্নিত হয়। মেট্রোপলিটন হাসপাতাল ল্যাবে ৯টি নমুনা পরীক্ষায় শহরের একটি পজিটিভ চিহ্নিত হয়।
নমুনা সংগ্রহের বিভিন্ন কেন্দ্রে ৪৯ জনের এন্টিজেন টেস্ট করা হয়। এতে রাঙ্গুনিয়ার একজনকে পজিটিভ বলে জানা গেছে।
এদিকে, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ২৩, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ১০, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে ১৬৩ ও স্পেশালাইজড এশিয়ান হাসপাতালে ৬৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। চট্টগ্রামের একজনের নমুনা কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পাঁচ ল্যবরেটরিতে ২৬০ নমুনার সবগুলোরই নেগেটিভ রেজাল্ট আসে।
এদিন, নির্ধারিত ১৫ পরীক্ষাগারের মধ্যে একমাত্র ল্যাব এইডে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়, শেভরনে ২ দশমিক ১৮, বিআইটিআইডি’তে ১ দশমিক ৮৬, চমেকহা’য় ৯ দশমিক ৩৭, আরটিআরএলে ৫৭ দশমিক ১৪, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৩ দশমিক ১৮, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ১ দশমিক ৭৮, এপিক হেলথ কেয়ারে ৩৪ দশমিক ৭৮ ও মেট্রোপলিটন হাসপাতাল ল্যাবে ১১ দশমিক ১১ এবং এন্টিজেন টেস্টে ২ দশমিক ০৪ শতাংশ। অন্যদিকে, চবি, সিভাসু, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে, স্পেশালাইজড এশিয়ান হাসপাতাল এবং কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পরীক্ষিত নমুনায় আক্রান্তের হার ছিল ০ শতাংশ। সূত্র: বাসস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।