করোনামুক্ত হওয়ার পরও মারা গেলেন ব্যবসায়ী

জুমবাংলা ডেস্ক : করোনামুক্ত হওয়ার পরও মারা গেলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার মোগড়া গ্রামের ব্যবসায়ী তাপস সাহা। বুধবার (১০ জুন) রাত সাড়ে ১২টার দিকে নিজ বাড়িতে মারা যান তিনি।

বৃহস্পতিবার (১১ জুন) সকালে সৎকারের জন্য তার মরদেহ স্থানীয় শ্মশানে নেয়া হয়। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ওই ব্যক্তির সৎকার করার জন্য আখাউড়া উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে যারা সৎকারে অংশ নেবেন তাদের পরবর্তীতে হোম কোয়ারেন্টাইতে থাকতেও বলা হয়েছে।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ মে ঢাকায় হৃদরোগের চিকিৎসা করতে গিয়ে তাপস সাহার শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়। গত ৫ জুন তিনি নতুন করে আখাউড়া হাসপাতালে নমুনা দিলে সেই রিপোর্টে করোনা নেগেটিভ আসে।

তাপস সাহার ছেলে কৌশিক সাহা জানান, বাবা গত ১৭ মে মোগড়া বাজারে ৩৫০ জন দরিদ্র মানুষের মধ্যে ব্যক্তিগত অর্থে ত্রাণ বিতরণ করেন। ত্রাণ বিতরণের দুইদিন পর হঠাৎ হার্টের রোগে আক্রান্ত হলে বাবাকে ঢাকার ল্যাব এইড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসার পর শরীরে জ্বর আসলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তার করোনা পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহ করেন। গত ২৪ মে রিপোর্টে তার শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়।

তিনি আরও জানান, করোনা শনাক্তের পর ল্যাব এইড হাসপাতালের আইসোলেশনে কয়েকদিন থাকার পর ডাক্তার ছাড়পত্র দেয়। পরে বাবাকে ২৮ মে আখাউড়ায় এনে নিজবাড়িতে হোম আইসোলেশনে রাখা হয়।

ডাক্তারের পরামর্শে হোম আইসোলেশনে থাকায় তারা আখাউড়া হাসপাতাল কিংবা উপজেলা প্রশাসনকে বিষয়টি জানায়নি। গত ৫ জুন শুক্রবার বিষয়টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে অবগত করে নতুন করে করোনার নমুনা দেয়া হয়। পাশাপাশি অন্যদেরও নমুনা দেয়া হয়।

আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও ডা. শ্যামল চন্দ্র ভৌমিক জানান, তাপস সাহার করোনা শনাক্ত হয় ঢাকায়। পরবর্তীতে তিনি নমুনা দিতে আসেন। নমুনা নিয়ে তাকে হোম আইসোলেশনে থাকতে বলা হয়। গত মঙ্গলবার আসা ফলাফলে তিনিসহ পরিবারের সবার নেগেটিভ আসে।

আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) তাহমিনা আক্তার রেইনা জানান, ওই ব্যক্তির মারা যাওয়ার বিষয়টি জেনেছি। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সৎকার

করার পাশাপাশি যারা সৎকারে অংশ নেবেন তাদের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলা হয়েছে।