হারুন উর রশীদ স্বপন, ডয়চে ভেলে (ঢাকা): করোনা ভাইরাসের প্রস্তুতি নিয়ে অনেক আলোচনা হলেও বাংলাদেশে স্ক্রিনিং-এর জন্য কর্মক্ষম থার্মাল স্ক্যানার আছে মাত্র একটি৷ সেটি আছে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে৷ তাদের তিনটি স্ক্যানার থাকলেও এখন দুটি নষ্ট৷
শাহজালাল ছাড়া বাংলাদেশের আর কোনো বিমানবন্দর বা স্থলবন্দরে থার্মাল স্ক্যানার নেই বলে জানা গেছে৷ কোনো কোনো স্থলবন্দরে স্ক্যানার বলতেই কিছু নেই৷
চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং গত বুধবার ঢাকার কেরানীগঞ্জে এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের সব ধরনের বন্দরে থার্মাল স্ক্যানার বসানোর তাগিদ দিয়েছেন৷ এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র বলছে বাংলাদেশ উচ্চ করোনা ঝুঁকিতে রয়েছে৷
গত ২১ জানুয়ারি থেকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাত্রীদের স্ক্রিনিং শুরু হয়৷ প্রথম দিকে শুধু চীন খেকে আসা যাত্রীদেরই স্ক্রিনিং-এর আওতায় আনা হলেও ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে সব যাত্রীকেই স্ক্রিনিং করা হচ্ছে বলে দাবি করা হয়েছে৷ কিন্তু সেটা কি আদৌ সম্ভব হচ্ছে?
বিমানবন্দরের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. শাহরিয়ার সাজ্জাদ জানান, ‘‘মোট তিনটি থার্মাল স্ক্যানার ছিলো৷ ভিআইপি টার্মিনালের স্ক্যানার আগে থেকেই নষ্ট৷ আর সাধারণ টার্মিনালের দু’টি সচল ছিলো৷ কিন্তু তার একটি এক সপ্তাহ আগে নষ্ট হয়ে যায়৷”
থার্মাল স্ক্যানারের মধ্য দিয়ে কোনো যাত্রী পার হলে সহজেই তার শরীরের তাপমাত্রা বোঝা যায়৷ যদি সবুজ আলো জ্বলে তাহলে স্বাভাবিক৷ লাল আলো জ্বললে তাপমাত্রা অস্বাভাবিক৷
এই চিকিৎসক জানান, এখন তারা অনেকটাই ম্যানুয়ালি স্ক্রিনিং করছেন৷ হ্যান্ড হেল্ড থার্মোমিটার দিয়ে শরীরের তাপমাত্রা দেখছেন – যা অনেক সময়সাপেক্ষ৷
ডা. সাজ্জাদ জানান, ‘‘নতুন করে থার্মাল স্ক্যানার আনা অনেক সময়সাপেক্ষ৷ এর জন্য টেন্ডার আহ্বান করতে হয়৷” তার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে তিনি জানান৷ এদিকে যে থার্মাল স্ক্যানার দিয়ে কাজ চলছে তাও মেয়াদোত্তীর্ণ৷ যে-কোনো সময় অকেজো হয়ে যেতে পারে৷ আর অভ্যন্তরীণ টার্মিনালে কখনোই থার্মাল স্ক্যানার ছিলোনা৷
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।