নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সবার পার্সোনাল প্রটেকটিভ ইকুইপমেন্ট (পিপিই) ব্যবহারের প্রয়োজন নেই উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘পিপিই ডাক্তার, নার্সসহ স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য।’
প্রধানমন্ত্রী আজ সকালে তাঁর সরকারী বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সারাদেশের মাঠ পর্যায়ের জনপ্রতিনিধি এবং সরকারী কর্মকর্তাদের সাথে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে মতবিনিময়কালে একথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘যাদের প্রয়োজন নাই তাদের পিপিই ব্যবহারের প্রয়োজন নাই। পিপিই সকলের ব্যবহারের জন্য নয়। এটি ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য।
পিপিই ব্যবহারের ক্ষেত্রে নির্দেশনা কঠোরভাবে মেনে চলার তাগিদ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সকলে পিপিই ব্যবহার করতে গিয়ে স্বাস্থ্য সেবা যেন ব্যাহত না হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, করোনা মোকাবিলায় দেশের মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করাটা জরুরি। আমাদের দেশটা ছোট কিন্তু জনসংখ্যা ব্যাপক। এরপরও আমরা মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করতে পেরেছি। সেজন্য বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে করোনা নিয়ন্ত্রণ পর্যায়ে রয়েছে।
সবাইকে ঘরে অবস্থানের পরামর্শ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনা প্রতিরোধে মানুষের করণীয় বিষয়ে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। আপনারা এসব নির্দেশনা মেনে চলুন। কেননা নিজেদের সুরক্ষা নিজেদেরই করতে হবে।
তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী করোনার থাবা রয়ে গেছে। আমরা বিশ্ব থেকে দূরে নই। আমাদের আরও সচেতন থাকা দরকার। আমরা আমাদের দেশের মানুষের সুরক্ষার জন্য অনেক আগে থেকেই কাজ করেছি। ভবিষ্যতে যাতে করোনাভাইরাস না ছড়ায় সেজন্য সেদিকেও দৃষ্টি রাখতে হবে।
করোনা উপসর্গ দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখানে কোনো লুকোচুরি করার সুযোগ নেই। লুকোচুরি করলে নিজের জীবনকেই ঝুঁকিতে ফেলে দেয়া হবে। জনগণকে সুরক্ষিত রাখতে হবে।
সবাইকে ঘরে অবস্থানের পরামর্শ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনা প্রতিরোধে মানুষের করণীয় বিষয়ে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। আপনারা এসব নির্দেশনা মেনে চলুন। কেননা নিজেদের সুরক্ষা নিজেদেরই করতে হবে।
তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী করোনার থাবা রয়ে গেছে। আমরা বিশ্ব থেকে দূরে নই। আমাদের আরও সচেতন থাকা দরকার। আমরা আমাদের দেশের মানুষের সুরক্ষার জন্য অনেক আগে থেকেই কাজ করেছি। ভবিষ্যতে যাতে করোনাভাইরাস না ছড়ায় সেজন্য সেদিকেও দৃষ্টি রাখতে হবে।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস ভিডিও কনফারেন্সটি সঞ্চালনা করেন।
প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়রকে উদ্দেশ্য করে সকল জনপ্রতিনিধিদেরকে নিয়ে মশা নিয়ন্ত্রণ করার নির্দেশ দেন।
প্রধানমন্ত্রী সতর্ক করেন- করোনার সঙ্গে মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গু বা চিকুনগুনিয়া যুক্ত হলে পরিস্থিতি আরো মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে।
তিনি বলেন, ‘আর কয়েকদিনের মধ্যেই মশার প্রাদুর্ভাবে ডেঙ্গু দেখা দিতে পারে, কাজেই সেটা যেন না হয় সেজন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে এবং প্রতিরোধমুলক ব্যবস্থা নিতে হবে।’
তিনি জনগণকে নিজ বাড়ি এবং তার চারপাশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন এবং পানি জমে থাকা রোধ করে মশার বংশ বিস্তার রোধ করার পাশাপাশি ব্যক্তিগত সুরক্ষার জন্য সকলকে মশারি খাটিয়ে ঘুমানোর পরামর্শ দেন। সূত্র: বাসস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।