জুমবাংলা ডেস্ক : করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশের আরও তিন চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে করোনায় মারা গেছেন অর্ধশত চিকিৎসক। এছাড়া করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন আরও ৮ জন চিকিৎসক।
বুধবার (২৪ জুন) রাত সাড়ে ১১টার দিকে মারা যান রাজধানীর আল-মানার হাসপাতালের পরিচালক ও ডায়াবেটিস স্পেশালিস্ট ডা. মো. সাইফুল ইসলাম। আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি দুই সপ্তাহেরও বেশি চিকিৎসাধীন ছিলেন।
হাসপাতালের কাস্টমার কেয়ার এক্সিকিউটিভ আসাদুজ্জামান জানান, বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
করোনায় মারা গেছেন চট্টগ্রাম আই ইনফার্মারির চিকিৎসক (অবসরপ্রাপ্ত) ডা. শহিদুল আনোয়ার। রাত ১২টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (চমেক) আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ডা. শহিদুল আনোয়ার চান্দগাঁওতে বণি হাসান চক্ষু হাসপাতালের কনসালটেন্ট ছিলেন। নগরের জামালখান এলাকায় ব্যক্তিগত চেম্বারেও তিনি রোগী দেখতেন।
চমেক অধ্যক্ষ ডা. শামীম হাসান তিনি বলেন, ‘চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. শহিদুল আনোয়ার চমেকের ১৫তম ব্যাচের ছাত্র ছিলেন। প্রায় এক মাস আগে তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন। তাকে প্লাজমা থেরাপিও দেয়া হয়েছিল। আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।’
এর আগে বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর বেসরকারি ইমপালস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন ডা. ইউনুস আলী খান।
ফাউন্ডেশন ফর ডক্টরস সেফটি রাইটস অ্যান্ড রেসপন্সসিবিলিটির (এফডিএসআর) যুগ্ম সম্পাদক ডা. রাহাত আনোয়ার চৌধুরী বলেন, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ থেকে পাস করার পর ডা. ইউনুস আলী খান গত ৫০ বছর ধরে সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুরে নিজ এলাকায় মানবসেবায় নিয়োজিত ছিলেন।
এফডিএসআর’র হিসাব অনুযায়ী, করোনায় এখন পর্যন্ত ৫০ জন চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন আরও আট চিকিৎসক।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।