জুমবাংলা ডেস্ক: চট্টগ্রামে নতুন করে ২১৯ জন করোনায় আক্রান্ত ও ৮১৬ জন সুস্থ হয়েছেন। সংক্রমণের হার ১৫ দশমিক ৪৩ শতাংশ। একই সময়ে আরো ৫ করোনা রোগীর মৃত্যু হয়।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টার রিপোর্টে এসব তথ্য জানা যায়।
রিপোর্টে দেখা যায়, এন্টিজেন টেস্ট, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ও ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি এবং নগরীর সরকারি-বেসরকারি সাতটি ল্যাবে গতকাল রোববার চট্টগ্রামের ১ হাজার ৪১৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন শনাক্ত ২১৯ রোগীর মধ্যে শহরের ১১৯ ও ১৩ উপজেলার ১শ’ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে রাউজানে সর্বোচ্চ ৩০, বোয়ালখালীতে ২১, পটিয়ায় ৯, হাটহাজারী ও ফটিকছড়িতে ৮ জন করে, মিরসরাই ও সীতাকু-ে ৬ জন করে, বাঁশখালী ও সাতকানিয়ায় ৩ জন করে, আনোয়ারা ও চন্দনাইশে ২ জন করে এবং রাঙ্গুনিয়া ও লোহাগাড়ায় ১ জন করে রয়েছেন। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ৯৭ হাজার ৩৫২ জন। এর মধ্যে শহরের ৭১ হাজার ১২৩ জন ও গ্রামের ২৬ হাজার ২২৯ জন।
গতকাল করোনায় শহরের ৩ জন ও গ্রামের ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতের সংখ্যা এখন ১ হাজার ১৮৩ জন। এতে শহরের ৬৭০ জন ও গ্রামের ৫১৩ জন। সুস্থতার ছাড়পত্র পেয়েছেন নতুন ৮১৬ জন। মোট আরোগ্যলাভকারীর সংখ্যা ৬৫ হাজার ৯৭৫ জনে উন্নীত হয়েছে। এর মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ৯ হাজার ৩৪৯ জন ও বাসায় থেকে চিকিৎসায় সুস্থ হন ৫৬ হাজার ৬২৬ জন। হোম কোয়ারেন্টাইন ও আইসোলেশনে নতুন যুক্ত হন ২৮৫ জন এবং ছাড়পত্র নেন ৪৩৪ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ৩ হাজার ৫৫৩ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে গতকাল সবচেয়ে বেশি ৪৬২টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে শহরের ৩৭ ও গ্রামের ৩১টিতে করোনা ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলেছে। ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে ২৫৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় গ্রামের ৪ জনসহ ১২ জন জীবাণুবাহক পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ১৬০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে নগরের ২৬ জন ও গ্রামের ৩০ জন জীবাণুবাহক বলে প্রমাণ পাওয়া যায়। নমুনা সংগ্রহের বিভিন্ন বুথে ১০১ জনের এন্টিজেন টেস্টে গ্রামের ২০ জনের সংক্রমণ ধরা পড়ে। নগরীর বিশেষায়িত কভিড চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল-এ পরীক্ষিত ১৯টি নমুনায় শহরের ২টি ও গ্রামের ৯টির পজিটিভ রেজাল্ট আসে।
বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাব শেভরনে ১৭২টি নমুনা পরীক্ষা করে শহরের ১০টি, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ১২৭টি নমুনার মধ্যে গ্রামের একটিসহ ১৩টি, মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে ৪৩টি নমুনার মধ্যে শহরের ৫ ও গ্রামের ৪টি, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল ল্যাবে ১৯ নমুনায় শহরের ৩টি এবং এপিক হেলথ কেয়ার হাসপাতালে ৫৮ নমুনা পরীক্ষায় গ্রামের একটিসহ ১৭টিতে ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। এদিন ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা হয়নি। চট্টগ্রামের কোনো নমুনা কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে পাঠানো যায়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট পর্যবেক্ষণে সংক্রমণ হার পাওয়া যায়, চমেকে ১৪ দশমিক ৭২ শতাংশ, বিআইটিআইডি’তে ৪ দশমিক ৬৫, চবি’তে ৩৫ শতাংশ, এন্টিজেন টেস্টে ১৯ দশমিক ৮০, আরটিআরএলে ৫৭ দশমিক ৮৯, শেভরনে ৫ দশমিক ৮১, ইম্পেরিয়ালে ১০ দশমিক ২৩, মা ও শিশু হাসপাতালে ২০ দশমিক ৯৩, মেডিকেল সেন্টারে ১৫ দশমিক ৭৯ এবং এপিক হেলথ কেয়ার ল্যাবে ২৯ দশমিক ৩১ শতাংশ। সূত্র: বাসস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।