জুমবাংলা ডেস্ক: করোনায় চট্টগ্রামে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় নতুন ৮ জন আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্তের হার ০ দশমিক ৪৮ শতাংশ। এ সময় শহর ও গ্রামে কোনো রোগির মৃত্যু হয়নি।
জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রেরিত চট্টগ্রামের করোনা সংক্রান্ত হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে আজকের প্রতিবেদনে এ সব তথ্য জানা যায়।
রিপোর্টে দেখা যায়, গতকাল বৃহস্পতিবার ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি, এন্টিজেন টেস্ট ও নগরীর সাত ল্যাবে চট্টগ্রামের ১ হাজার ৬৪২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে নতুন ৮ ভাইরাসবাহকের সকলেই শহরের । জেলায় এ পর্যন্ত মোট আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে ১ লাখ ২ হাজার ৪৫৩ জনে পৌঁছেছে। আক্রান্তদের মধ্যে ৭৪ হাজার ১৩৩ জন শহরের ও ২৮ হাজার ৩২০ জন গ্রামের । গতকাল করোনায় একজন রোগিরও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। জেলায় মোট মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৩৩১ জনই রয়েছে। এর মধ্যে ৭২৩ জন শহরের ও ৬০৮ জন গ্রামের।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি শেভরনে গতকাল সবচেয়ে বেশি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এখানে ৫৪২টি নমুনার মধ্যে একটিতে করোনার জীবাণু মিলেছে। ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে ৩৭৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় একজন জীবাণুবাহক চিহ্নিত হন। আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ২৩১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে ৩ জন পজিটিভ শনাক্ত হন। বিশেষায়িত কভিড-১৯ চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের রিজিওনাল টিবি রেফারেল ল্যাবরেটরিতে ৭ নমুনার একটিতে করোনাভাইরাস পাওয়া যায়। মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল ল্যাবে ৯ নমুনার মধ্যে ২ জনের শরীরে জীবাণু থাকার প্রমাণ মিলেছে।
এদিকে, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে ৩০, বেসরকারি ল্যাবরেটরি ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৩১৫, এপিক হেলথ কেয়ারে ১৩ এবং নমুনা সংগ্রহের বিভিন্ন বুথে ২৮ জনের এন্টিজেন টেস্ট করা হয়। তিন ল্যাবরেটরি ও এন্টিজেন টেস্টে মোট ৩৮৬ নমুনার সবগুলোরই নেগেটিভ রেজাল্ট আসে।
এদিন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি), ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু), বেসরকারি ল্যাব এইড ও মেট্রোপলিটন হাসপাতাল ল্যাবে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি। চট্টগ্রামের কোনো নমুনা কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট পর্যবেক্ষণে সংক্রমণ হার পাওয়া যায়, বিআইটিআইডি’তে ০ দশমিক ২৬ শতাংশ, আরটিআরএলে ১৪ দশমিক ২৮, শেভরনে ০ দশমিক ১৮, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ১ দশমিক ৩০, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ২ দশমিক ০৪ শতাংশ এবং চমেকহা, ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল, এপিক হেলথ কেয়ার ল্যাবরেটরি ও এন্টিজেন টেস্টে ০ শতাংশ। সূত্র: বাসস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।