
শুক্রবার উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নিকারুজ্জামান বলেন, কিছুক্ষণ পরেই বর-বধূ ঘরে ফিরে বাসর রাতের স্বপ্ন দেখেছিলেন। কিন্তু তাদের সেই স্বপ্ন আমাকে অত্যন্ত নির্মমতার সঙ্গে চুরমার করে দিতে হয়েছে। এমন কাজটিতে আমিও মনে কষ্ট পেয়েছি। তারপরও জাতির স্বার্থে করতে হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের ডেইল পাড়া গ্রামের এক প্রবাসী যুবক ঘরে ফিরেই মাত্র কয়েকদিনের মাথায় বসেন বিয়ের আসরে। আগেই পাত্রী ঠিক করা ছিল। বিদেশ থেকে ফিরে আসার পর অন্তত ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার কথা থাকলেও তা অমান্য করেই বিয়ের আয়োজন করা হয়।
বিদেশ ফেরত পাত্রের বিয়ে বলে কথা! বিয়ে অনুষ্ঠানও ছিল বেশ জমকালো। এমন বিয়ে অনুষ্ঠানের খবর পেয়ে ইউএনও সাথে পুলিশ নিয়ে পৌঁছে যান অনুষ্ঠানস্থলে। গিয়ে দেখেন, অতিথিদের খাবার-দাবার পর্ব শেষ। এমনকি কাজি বিয়েও পড়িয়ে দিয়েছেন। এবার নববধূকে নিয়ে বরের ঘরে ফেরার পালা। বরের হাতেও সময় কম। মধ্যপ্রাচ্যের করোনা আক্রান্ত একটি দেশে তিনি চাকরি করেন। স্বল্প সময়ের মধ্যেই আবারও ফিরে যাবেন তিনি।
বাসর ঘরে বসার সুযোগ না দিয়েই ইউএনও তাদের থামালেন। এরপর গ্রামের সর্দ্দার ডেকে বসলেন বিষয়টি ফয়সালা করতে। শেষ পর্যন্ত কনে পক্ষ মুচলেখা দিয়ে নিশ্চিত করলেন তাদের কনেকে দুই সপ্তাহ পর্যন্ত তাদের ঘরে রাখবেন। অপরদিকে বর পক্ষও অনুরূপ সিদ্ধান্ত জানালেন তাকে (বর) দুই সপ্তাহ ঘরে কোয়ারেন্টিনে রাখা হবে।
উখিয়া উপজেলায় গতকাল পর্যন্ত ২৯ জন বিদেশফেরত ব্যক্তি হোম কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন বলে ইউএনও জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে রোহিঙ্গা শিবিরে একজন অস্ট্রেলিয়াফেরত রোহিঙ্গাও শিবিরের এক হাসপাতালে কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন বলে জানান তিনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



