জুমবাংলা ডেস্ক : করোনায় আক্রান্ত হয়ে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ওমানে প্রবাসী সুলতান আহমদের মৃত্যু হয়েছে। তার এ মৃত্যুতে পরিবারটিতে নেমে এসেছে ঘোর অনামিষা। কারণ সুলতান আহমেদ ছিলেন পরিবারে একমাত্র উপার্জনকারী। তার রয়েছে স্ত্রী ও একমাত্র ১৪ বছরের প্রতিবন্ধী মেয়ে সাবরিনা সুলতানা।
সে বাবার ছবিতে বার বার চুমু খাচ্ছিল। কিন্তু সাবরিনা জানে না তার বাবা আর এই পৃথিবীতে নেই। অন্যদিকে একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে বৃদ্ধ মায়ের কান্না আর আহাজারি। সুলতানকে হারিয়ে পরিবারের সদস্যরা এখন পাগলপ্রায়।
সুলতান রাউজানের নোয়াপাড়া ইউনিয়নের চৌধুরীহাট নুর আলী চৌকিদারের বাড়ির মৃত শামসুল আলমের একমাত্র ছেলে। তার বয়স হয়েছিল মাত্র ৪৩ বছর। আজ বুধবার (১৪ জুলাই) সকাল ১১টায় তার দাফন সম্পন্ন হয়। এর আগে করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ১২ জুলাই বাংলাদেশ সময় রাত ১১টায় ওমানের স্থানীয় একটি সরকারি হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সুলতান পরিবারের ভাগ্য পরিবর্তনের আশায় দীর্ঘ ২৬ বছর আগে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ওমানে যান। কিন্তু ২৬ বছর প্রবাস জীবন করেও ফেরেনি আর্থিক স্বচ্ছলতা। সর্বশেষ গত ৪ বছর আগে দেশে আসেন সুলতান। এরপর আবারও প্রবাসে যান তিনি।
কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস, দীর্ঘদিন প্রবাস জীবন সংগ্রামের সঙ্গে যুদ্ধ করেও আর্থিক স্বচ্ছলতা ধরা দেয়নি তাকে। এখনো পরিবার থাকে বাপ-দাদার সেই কাঁচা মাটির ঘরে। করোনার করাল গ্রাস থেকে রক্ষা পাননি সুলতান। এর আগে গত ১ জুলাই নিহতের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।