জুমবাংলা ডেস্ক : থালায় কি শুধুমাত্র আমড়া ও লবন-মরিচই ছিল? না আরও কিছু ছিল? খালি চোখে সবকিছু দেখা যায় না। অন্তরের চোখে দেখলে সহজেই সবাই কিছু দেখতে পায়। শনিবার (১০ আগস্ট) চাঁদপুর নৌঘাটে অনেকে চর্ম চোখে একটা হকারের হৃদপিণ্ডের আর্তনাদ শুনতে পেরেছিলেন। তবে কেউ কিছু বলেনি। বিবেক দিয়ে কি হবে বলছে অনেকে। এ বিষয়টি নিয়ে নাজমুন নাহার জেসি নামে একজন ফেসবুক ব্যবহারকারী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করেন। পাঠকের জন্য সেই স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো-
এখানে এক থালা স্বপ্ন ছিল!
একটি পরিবারের একদিনের আহার ছিল। ঈদের আগের রাতে হকার্স মার্কেট থেকে মেয়ের জন্যে লাল জামা আর ছেলের জন্যে কম দামের পাঞ্জাবি কেনার টাকা ছিল। এই এক থালা আমড়ায় হয় তো তার স্ত্রী অথবা মায়ের জন্যে ঔষধ কেনার টাকা ছিল। পরের দিন আবার পালবাজার থেকে আমড়া কেনার মূল চালান ছিলে। পরিশেষে এই এক থালা আমড়ায় গরীর লোকটার কপাল বেয়ে ঝরে পড়া লোনাক্ত ঘাম ছিলে। হয় তো দুচোখের জলও ছিল।
চাঁদপুর নৌ-টার্মিনালের লঞ্চঘাটে অবৈধভাবে থালা মাথায় আমড়া বিক্রির অপরাধে তাকে বড় জোড় কানধরে উঠবস করাতেন। না হয়, একঘন্টা আটক রাখতেন। তাই বলে তার জীবন-জীবিকার একমাত্র অবলম্বনটা জলে ফেলে দিবেন?
চাঁদপুর লঞ্চঘাটে কতোগুলো অবৈধ স্থাপনা, হোটেল আর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আছে? নিশ্চয়ই জানেন আপনি। পারবেন? ঠিক এইভাবে সেগুলো নদীতে ফেলে দিতে???
হে রাষ্ট্র, এই গরীব মানুষগুলো আপনার কাছে যদি এতোটাই বোঝা হয়ে থাকে, তবে তাদেরকে ধরে ধরে নদীতে ফেলে দিও।
প্লিজ, তবুও তার স্বপ্নগুলো এইভাবে নদীতে ফেলো না। একটু তার ছোট্ট সন্তান, বাবা-মা আর আবদার করা সহধর্মিণীর কথাটা ভাবেন, ভাববেন না, ঠিক আছে কতর্ব্য বুঝি গরিবের বেলায় প্রযোজ্য?কর্তব্য বুঝি গরিবের বেলায় প্রযোজ্য?
জুমবাংলা ডেস্ক : থালায় কি শুধুমাত্র আমড়া ও লবন-মরিচই ছিল? না আরও কিছু ছিল? খালি চোখে সবকিছু দেখা যায় না। অন্তরের চোখে দেখলে সহজেই সবাই কিছু দেখতে পায়। শনিবার (১০ আগস্ট) চাঁদপুর নৌঘাটে অনেকে চর্ম চোখে একটা হকারের হৃদপিণ্ডের আর্তনাদ শুনতে পেরেছিলেন। তবে কেউ কিছু বলেনি। বিবেক দিয়ে কি হবে বলছে অনেকে। এ বিষয়টি নিয়ে নাজমুন নাহার জেসি নামে একজন ফেসবুক ব্যবহারকারী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করেন। পাঠকের জন্য সেই স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো-
এখানে এক থালা স্বপ্ন ছিল!
একটি পরিবারের একদিনের আহার ছিল। ঈদের আগের রাতে হকার্স মার্কেট থেকে মেয়ের জন্যে লাল জামা আর ছেলের জন্যে কম দামের পাঞ্জাবি কেনার টাকা ছিল। এই এক থালা আমড়ায় হয় তো তার স্ত্রী অথবা মায়ের জন্যে ঔষধ কেনার টাকা ছিল। পরের দিন আবার পালবাজার থেকে আমড়া কেনার মূল চালান ছিলে।পরিশেষে এই এক থালা আমড়ায় গরীর লোকটার কপাল বেয়ে ঝরে পড়া লোনাক্ত ঘাম ছিলে। হয় তো দুচোখের জলও ছিল।
চাঁদপুর নৌ-টার্মিনালের লঞ্চঘাটে অবৈধভাবে থালা মাথায় আমড়া বিক্রির অপরাধে তাকে বড় জোড় কানধরে উঠবস করাতেন। না হয়, একঘন্টা আটক রাখতেন। তাই বলে তার জীবন-জীবিকার একমাত্র অবলম্বনটা জলে ফেলে দিবেন?
চাঁদপুর লঞ্চঘাটে কতোগুলো অবৈধ স্থাপনা, হোটেল আর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আছে? নিশ্চয়ই জানেন আপনি। পারবেন? ঠিক এইভাবে সেগুলো নদীতে ফেলে দিতে???
হে রাষ্ট্র, এই গরীব মানুষগুলো আপনার কাছে যদি এতোটাই বোঝা হয়ে থাকে, তবে তাদেরকে ধরে ধরে নদীতে ফেলে দিও।
প্লিজ, তবুও তার স্বপ্নগুলো এইভাবে নদীতে ফেলো না। একটু তার ছোট্ট সন্তান, বাবা-মা আর আবদার করা সহধর্মিণীর কথাটা ভাবেন, ভাববেন না, ঠিক আছে কতর্ব্য বুঝি গরিবের বেলায় প্রযোজ্য? সূত্র : বিডি২৪লাইভ
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।