কর্মীদের বিমানবন্দরে গ্রহণ করতে হবে নিয়োগকর্তার

আহমাদুল কবির : মালয়েশিয়ায় বিদেশি কর্মী আগমনের পরে কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাদের গ্রহণ করবেন নিয়োগকর্তা। অন্যথায় যে দেশ থেকে কর্মী আসবে ফিরতি ফ্লাইটে সে দেশেই পাঠিয়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে দেশটির অভিবাসন বিভাগের মহাপরিচালক দাতুক সেরি খায়রুল দাজাইমি দাউদ।

২৮ সেপ্টেম্বর সরকারি সংবাদ সংস্থা বার্নামার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- আগত কর্মীর ডকুমেন্ট এবং প্রকৃত নিয়োগকর্তা যাচাইয়ের পর বিমানবন্দরে নিয়োগকর্তারা তাদের নতুন কর্মী গ্রহণ করতে পারবে।

ইমিগ্রেশন মহাপরিচালকের উদ্ধৃতি দিয়ে প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, অভিবাসন বিভাগের বিধানগুলো নিয়োগকর্তাদের মেনে চলতে হবে। কেএলআইএতে তাদের বিদেশি কর্মীদের ছয় ঘণ্টার মধ্যে গ্রহণ করতে হবে। তবে নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে সেই সময়কাল বাড়ানো হবে।

বিদেশি কর্মীদের মালয়েশিয়ায় প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না যতক্ষণ না প্রকৃত নিয়োগকর্তা তাদের গ্রহণ করার জন্য কুয়ালালামপুর বিমানবন্দরে আসেন। সব বিদেশি শ্রমিকের বৈধ নিয়োগকর্তার অধীনে থাকা নিশ্চিত করার জন্য এ প্রবিধান।

অভিবাসন বিভাগের তথ্যমতে, প্রকৃত নিয়োগকর্তার অধীনে না থাকার কারণে কর্মীরা অবৈধ হয়, গ্রেফতার ও শাস্তির সম্মুখীন হয়।

নিয়োগকারী এই নিয়ম মেনে চলতে ব্যর্থতা হলে আগত বিদেশি কর্মীকে ‘নট টু ল্যান্ড’ (এনটিএল) নোটিশ দেওয়া হবে এবং পরবর্তী ফ্লাইটে তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে।

বাংলাদেশি কর্মীদের নিয়ে কয়েক বছরের তিক্ত অভিজ্ঞতার আলোকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে প্রকৃত নিয়োগকর্তা কর্তৃক বিমানবন্দরে কর্মীকে গ্রহণ করার শর্তটি কঠোরভাবে বাস্তবায়নের জন্য মালয়েশিয়াকে অনুরোধ করা হয়। মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন বিভাগ সুষ্ঠু অভিবাসী ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে এ নিয়ম পরিপালনের জন্য নিয়োগকর্তাদের অনুরোধ করেছে।

উল্লেখ্য, অভিবাসী কর্মী ব্যবস্থাপনার দুর্বলতা মালয়েশিয়ার মতো উন্নত দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে। আন্তর্জাতিক সীমান্ত পুনরায় খোলার পর থেকে অভিবাসন বিভাগ-১ এপ্রিল থেকে ২৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৯৮০৭৯ জন নতুন বিদেশি কর্মী প্রবেশের ব্যবস্থা করেছে বলে জানালেন ইমিগ্রেশন মহাপরিচালক খায়রুল দাজাইমি দাউদ।