আন্তর্জাতিক ডেস্ক: কলম্বিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় শহর কুকুটায় সাধারণ মানুষদের ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে একটি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন। বলা হচ্ছে, এটি দিয়ে জিকা ভাইরাসের সংক্রমণ ও মশা বাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে। ওই অ্যাপটি স্থানীয়দের মশার প্রজনন ক্ষেত্রগুলো সনাক্ত করতে এবং সেগুলো ধ্বংস করতে সহায়তা করছে।
ব্যারামান নামে একটি সংগঠনে সাত হাজারেরও বেশি মানুষ কাজ করে। কলম্বিয়ার তিনটি শহর- কুকুটা, কালি এবং সান্তা মার্টার নাগরিকদের দ্বারা পরিচালিত হয় এই সংগঠনটি। তারা ওই অ্যাপটি বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিচ্ছে। তারপর ওই অ্যাপটি চালু হওয়ার পর ছবি পাঠালে মশা নিধনে ব্যাপক ভূমিকাও রাখছে। তারা দেশটির এক লাখ আট হাজার বাড়িতে গিয়েছেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক একটি ডেটা ও অ্যানালিটিক্স সংস্থা প্রিমিস ওই অ্যাপটি তৈরি করে। তারা ওই ফোন অ্যাপ ব্যবহার করে তথ্য সংগ্রহ করে। সেই সঙ্গে জমা করে রাখে এবং কিছু জায়গার ছবি তুলে রাখে। তারপর তা নগর স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠায়। ওই তথ্যগুলো পাঠানোর পর নগর স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ একটি ম্যাপ তৈরি করে দেখে কোথায় বেশি মশা প্রজননের স্থান রয়েছে। পরে তা দেখে দ্রুত ব্যবস্থা নেন তারা।
২০১৮ সাল থেকে ওই পাইলট কর্মসূচিটি চালু করা হয়। শেষ হয় এই বছরের জুলাই মাসে। ইউএস এজিন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভলপমেন্ট (ইউএসএআইডি) ওই পাইলট প্রজেক্টটির অর্থায়ন করে। বলা হচ্ছে, যখন স্থানীয়রা অ্যাপটি ব্যবহার করে মশার প্রজনন সাইটগুলো সম্পর্কে জানতে পারে তখন তা অতি দ্রুত ধ্বংস করতে পারে। এর ফলে সবাই মশা থেকে মুক্ত থাকতে পারে। প্রযুক্তি সংস্থাটি আশা করছে, এই উদ্যোগটি কলম্বিয়ার অন্যান্য শহরগুলোতে ছড়িয়ে দেওয়া হবে। এর কারণে সবাই মশা বাহিত রোগে থেকে মুক্তি পাবে।
জেনেভা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্লোবাল হেলথ ইনস্টিটিউটের পরিচালক আন্টোইন ফ্লাহাল্ট বলেন, এটি একটি অংশগ্রহণমূলক পদ্ধতি। এটি উদ্ভাবনী পদ্ধতিও। এই অ্যাপ দিয়ে অতি সহজে নাগরিকদের স্বাস্থ্যের দিকে নজর রাখা যাবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।