নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর গুলশানের একটি অভিজাত ফ্ল্যাট থেকে মোসারাত জাহান (মুনিয়া) নামের এক কলেজছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার রাতে গুলশান ২ নম্বরের ১২০ নম্বর সড়কের ১৯ নম্বর বাসার একটি ফ্ল্যাট থেকে তার মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত মুনিয়া ঢাকার একটি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। তার বাড়ি কুমিল্লা শহরে। বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুর রহমান।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গুলশান বিভাগের উপকমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী বলেন, ‘মোসারাত জাহানের পরিবার কুমিল্লায় থাকে। এখানে ওই ফ্ল্যাটে তিনি একাই থাকতেন।’
উপকমিশনার সুদীপ আরো বলেন, ‘দেশের একটি শীর্ষস্থানীয় শিল্প গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সঙ্গে মোসারাত জাহানের পরিচয় ছিল। তিনি ওই ফ্ল্যাটে যাতায়াত করতেন বলেও তথ্য পাওয়া গেছে।’
ফ্লাটটির সার্ভিস চার্জসহ মাসে ভাড়া ছিল ১ লাখ ১১ হাজার টাকা বলেও জানান তিনি।
এই পুলিশ কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘মোসারাত জাহান রবিবার তার বড় বোনকে ফোন করে জানান তিনি ঝামেলায় পড়েছেন। এ কথা শুনে তার বড় বোন সোমবার কুমিল্লা থেকে ঢাকায় আসেন। সন্ধ্যার দিকে ওই ফ্ল্যাটে যান তিনি। দরজায় ধাক্কাধাক্কি করলেও বোন দরজা খুলছিলেন না। এরও কিছুক্ষণ আগে থেকে বোনের ফোন বন্ধ পাচ্ছিলেন। পরে বাইরে থেকে ‘লক’ খুলে ঘরে ঢুকে বোনকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলতে দেখেন। পরে তিনি বাড়িওয়ালাকে বিষয়টি জানান। তখন পুলিশে খবর দেওয়া হয়।’
তিনি আরও বলেন, তারা ভবনটির সিসি ক্যামেরার ফুটেজ এবং মুনিয়ার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপসহ ডিজিটাল ডিভাইসগুলো জব্দ করেছেন। এগুলো যাচাই করে তারপর সব বলা যাবে।
এ ঘটনায় কলেজছাত্রী মোসারাত জাহান মুনিয়ার বোন নুসরাত জাহান বাদী হয়ে সোমবার রাতেই মামলা দায়ের করেছেন।
বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান তানভীরকে একমাত্র আসামী করে ৩০৬ ধারায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ এনে গুলশান থানায় মামলা করেন তিনি। মামলা নং ২৭।
মামলাটি গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আবুল হাসান তদন্ত করবেন বলে এফআইআর-এ উল্লেখ করা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।