জুমবাংলা ডেস্ক: মাগুরায় কাঁচা মরিচের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে ফুটেছে প্রশান্তির হাসি। এ জেলার কৃষকরা মরিচ চাষে নতুন করে স্বপ্ন বুনছেন। বেশি দাম পাওয়ায় কৃষকদের পাশাপাশি লাভবান হচ্ছেন কৃষক-দিনমজুর-ব্যবসায়ীরা।
কৃষি অফিসের তথ্যমতে, জেলার রামনগর, দূর্গাপুর, লক্ষ্মীকান্তর, আঠারোখাদা, টেঙাখালি, বাঁশকুঠা, মৃগিডাঙা, বাঁকডাঙা এবং গাংনালিয়া গ্রামে সবচেয়ে বেশি মরিচের আবাদ করা হয়। এ বছর বাজারে দাম ভালো পাওয়ায় মরিচ চাষ করেই স্বাবলম্বী হয়েছেন এ এলাকার অনেক চাষিরা।
সরজমিনে সদরের রামনগর মাঠে গিয়ে দেখা গেছে, কেউ মরিচক্ষেত পরিচর্যা করছেন, কেউ মরিচ তুলছেন আবার কেউ বাজারে নিয়ে যাচ্ছেন তাদের মরিচ।
মরিচ চাষি নকুল বিশ্বাস বলেন, এ বছর ২ বিঘা জমিতে মরিচ চাষ করেছি। প্রতি বিঘায় খরচ হয়েছে ১৫-২০ হাজার টাকা। প্রতি বিঘা মরিচক্ষেত ৮০-৯০ হাজার টাকার মরিচ বিক্রি করতে পারবো।
শালিখা উপজেলার গঙ্গারামপুর ইউনিয়নের বৈখালি গ্রামের কৃষাণী দিপিকা রানী বিশ্বাস জানান, তিনি ২৫ শতাংশ জমিতে এবার মরিচের আবাদ করেছেন। সেচ, সার ও অন্যান্য খরচসহ ১৫ টাকা ব্যয় হয়েছে। এখন পর্যন্ত ১২ হাজার টাকার মরিচ বিক্রি করেছেন। আশা করছেন বেশ লাভবান হবেন।
কাঁচা মরিচ ব্যবসায়ী স্বপন পাল বলেন, চলতি মৌসুমে কৃষকদের কাছ থেকে ৬০০ টাকা পর্যন্ত মরিচ কিনেছি। এখন মরিচের দাম প্রতি কেজি ৯০-১০০ টাকা বিক্রি করছি। যা খুচরা বাজারে ১২০-১৪০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে।
মাগুরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক সুফি মো. রফিকুজ্জামান বলেন, চলতি মৌসুমে জেলার বিভিন্ন এলাকায় ৪৯৫ হেক্টর (চলমান) জমিতে মরিচের আবাদ হয়েছে। গতবছরের চেয়ে এবার মরিচের ফলন ভালো হয়েছে। বাজারে উচ্চমূল্য থাকায় কৃষকরা লাভবান হয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, আমরা প্রতিটি কৃষককে সার-বীজসহ বিভিন্ন ধরনের সহায়তা করেছি। বেশি করে মরিচ চাষে উদ্বুদ্ধ করতে কৃষি বিভাগ কৃষকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করায় ব্যাপক সফলতা এসেছে। এতে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হয়েছেন কৃষকরা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।