জুমবাংলা ডেস্ক: বাজারে কাঁচামরিচের দাম কেজিতে বেড়েছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। রাজধানী ঢাকায় প্রতি কেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হহচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকায়।
কোরবানি ঈদের আগে কাঁচামরিচের কেজি ছিল ১০০ থেকে ১২০ টাকার মধ্যে। মাস খানেকের মধ্যে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে দাম।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, এখন বর্ষাকাল। এ সময় বেশি বৃষ্টি হয়। এতে মরিচের ক্ষেত পানিতে ডুবে যায়। গাছ মরে যায়। মরিচের উৎপাদন কম হয়। তবে চাহিদা কমে না। এ কারণে মরিচের দাম বেড়েছে। তবে আমদানি করা হলে মরিচের দাম কিছুটা কমতে পারে।
গতকাল কারওয়ান বাজার, তেজকুনিপাড়া ও হাতিরপুল বাজারে গিয়ে জানা গেছে, প্রতি কেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকায়। সপ্তাহ দুয়েক আগে এই মরিচের দাম ছিল ১৫০ থেকে ১৮০ টাকা। সেই হিসাবে এই সময়ে কেজিতে দাম বেড়েছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা।
কারওয়ান বাজারের সবজি বিক্রিতো সৌরভ হোসেন বলেন, প্রতি বছর এই সময় কাঁচামরিচের দাম একটু বেশি থাকে। এ সময় অন্য সবজির দামও বেড়ে যায়।
বাজারে সব দোকানে কমবেশি মরিচ দেখা গেছে। সরবরাহ বেশি থাকার পরও দাম বাড়তি কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কাঁচামাল পচনশীল। এগুলো দোকানে রেখে দিলে পচে যাবে। এতে ব্যবসায়ীদেরই ক্ষতি হবে। ব্যাপারীরা দাম বাড়ালে খুচরা বাজারে সঙ্গে সঙ্গে দাম বেড়ে যায়।
হাতিরপুল বাজারের সবজি বিক্রেতা রবিউল ইসলাম বলেন, কোরবানি ঈদের আগে থেকেই বাড়ছে মরিচের দাম। পানি লাগলে মরিচ পচে যায়। এ কারণে বর্ষার সময় দাম বেশি থাকে। তবে ভারতীয় মরিচ দেশে এলে দাম কমে যেতে পারে।
এদিকে বর্তমানে প্রতি কেজি শুকনো মরিচ বিক্রি হচ্ছে ২৪০ থেকে ৩২০ টাকায়। যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছিল ২২০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি দরে। এ ছাড়া আমদানি করা শুকনো মরিচের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকায়, যা মাস খানেক আগে কেনা যেত ৩২০ থেকে ৪০০ টাকায়।
সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্যমতে, গত এক বছরে দেশি শুকনো মরিচের দাম বেড়েছে ৫১ শতাংশের বেশি। আর আমদানি করা শুকনো মরিচের দাম বেড়েছে ৪৪ শতাংশের বেশি।
এদিকে গত কয়েক দিন সবজির দাম নাগালে থাকলেও আবার বাড়তে শুরু করেছে। গত দুই দিনের ব্যবধানে কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে পটোল, কাঁকরোলসহ কয়েকটি সবজির দাম।-সমকাল
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।