জুমবাংলা ডেস্ক : শনিবার (২২ অক্টোবর) বিভাগীয় সমাবেশ। তবে নেতাকর্মীরা জড়ো হতে শুরু করেছেন রাতেই। রাত থেকেই সমাবেশস্থলে দিচ্ছেন নানা স্লোগান।
শুক্রবার (২১ অক্টোবর) রাত ৮টার পরেই খুলনার কেডি ঘোষ রোড এলাকায় মানুষের সমাগম বাড়তে থাকে। অনেকে রাতে রাস্তায় অবস্থান নেয়ার জন্য কাঁথা, মাদুর, বালিশ, পেপার সঙ্গে করে নিয়ে এসেছেন। এদিকে ডাকবাংলা মোড়ের সোনালী ব্যাংক চত্বরে চলছে মঞ্চ তৈরির কাজ।
বিএনপি নেতারা জানান, সমাবেশের মঞ্চ তৈরির কাজ চলছে। নেতাকর্মীরা রাতে সেখানেই অবস্থান করবেন। এস্থানেই কাল (শনিবার) দুপুর ২টায় শুরু হবে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ।
জ্বালানি তেলসহ নিত্যপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি, পুলিশের গুলিতে দলের নেতা-কর্মীদের হত্যার প্রতিবাদে এবং নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে সারাদেশে বিভাগীয় পর্যায়ে গণসমাবেশ শুরু করেছে বিএনপি। ১২ অক্টোবর চট্টগ্রামে সমাবেশের পর ১৫ অক্টোবর ময়মনসিংহে সমাবেশ হয়েছে।
২২ অক্টোবর খুলনার পর ২৯ অক্টোবর রংপুরে সমাবেশ হওয়ার কথা। এরপর ৫ নভেম্বর বরিশালে, ১২ নভেম্বর ফরিদপুরে, ১৯ নভেম্বর সিলেটে, ২৬ নভেম্বর কুমিল্লায়, ৩ ডিসেম্বর রাজশাহীতে এবং ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় মহাসমাবেশ হবে।
এদিকে খুলনা জেলা বাস, মিনিবাস, কোচ, মাইক্রোবাস মালিক সমিতি’ বুধবার দুপুরে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, সড়ক ও মহাসড়কে অবৈধভাবে নছিমন, করিমন, মাহেন্দ্র, ইজিবাইক ও বিআরটিসির গাড়ি চলাচল করছে। আগামী ২০ অক্টোবরের মধ্যে প্রশাসন যদি সড়কে ওই অবৈধ যান চলাচল ও কাউন্টার বন্ধ না করে, তাহলে পরবর্তী দুই দিন ২১ ও ২২ অক্টোবর মালিক সমিতির সব রুটের গাড়ি বন্ধ থাকবে।
খুলনার সব রুটে বাস চলাচল বন্ধের ঘোষণার পর কোনো প্রতিবন্ধকতাই বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সমাবেশের জনস্রোতকে রুখতে পারবে না বলে হুঁশিয়ারি জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি দলের গুলশান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, আমরা কোনো প্রতিবন্ধকতা, কোনো হরতাল মানব না, আমরা কোনো কারফিউও মানব না, আমরা সেখানে উপস্থিত হবই।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।