এজাহার সূত্রে জানা গেছে, শিশুটি প্রতিদিনের ন্যায় রাতের খাবার শেষে ঘরে ঘুমাচ্ছিল। তার বাবা বিদেশ থাকেন। মা ঘরের বাইরে বসে সাংসারিক কাজ করছিলেন। ঘরে ঘুমন্ত শিশুটি ছিল একা। এ সুযোগে রাত ৮টার দিকে রিমন ওই ঘরে ঢুকে শিশুটিকে ধর্ষণ করে। শিশুটির চিৎকারে তার মা এগিয়ে গেলে রিমন পালিয়ে যায়। শিশুটি রক্তাক্ত অবস্থায় বিছানায় কাতরাচ্ছিল। খবর পেয়ে আশপাশের লোকজন এসে শিশুটিকে উদ্ধার করে পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশুটির উন্নত চিকিৎসার জন্য কিশোরগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে পাঠায়। বর্তমানে শিশুটি সেখানে চিকিৎসাধীন।
ভিকটিমের মা বলেন, মেয়েটির বাবা কয়েক বছর ধরে কুয়েত থাকেন। দুই মেয়েকে নিয়ে আমি বাড়িতে থাকি। ঘটনার সময় আমি ঘরের বাইরে বসে কাজ করছিলাম। মেয়েটি ঘরে একা ঘুমিয়েছিল। এ সুযোগে সে ঘরে ঢুকে আমার অবুঝ মেয়েটিকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেছে। মেয়েটি এখন হাসপাতালে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে। রিমন দুশ্চিরত্র ও খারাপ প্রকৃতির ছেলে হিসেবে এলাকায় পরিচিত। আমি তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পাকুন্দিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুজিত কুমার সরকার বলেন, মামলার নথিপত্রটি সকালে আমি পেয়েছি। আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশি অভিযানের প্রস্তুতি চলছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।