নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুর: গাজীপুরের শ্রীপুরে কাদা মাটির সড়ক মাড়িয়ে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে কয়েক হাজার শিক্ষার্থী। এতে দুর্ভোগের পাশাপাশি সময়ের অপচয় হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। পরীক্ষাকেন্দ্র সংশ্লিষ্টদের দাবি, দ্রুত সময়ের মধ্যে সড়ক সংস্কার করে ভোগান্তি দূর করার ব্যবস্থা গ্রহণের।
জানা যায়, উপজেলার ঢাকা–ময়মনসিংহ মহাসড়কের এমসি বাজার থেকে হাজী ছোট কলিম উচ্চ বিদ্যালয় এসএসসি পরীক্ষাকেন্দ্রে পর্যন্ত ৫০০ মিটার রাস্তার অবস্থা খুবই বেহাল। খানাখন্দের কারণে সড়কে জমে থাকে পানি। যানবাহন চলাচলের কারণে কাদা মাটি ছড়িয়ে পড়ছে পুরো সড়কে।
প্রতিদিন সড়ক দিয়ে চলাচল করে হাজার হাজার মানুষ। আশপাশের রয়েছে বেশ কয়েকটি শিল্পপ্রতিষ্ঠান। বিশেষ করে প্রতিবছর এসএসসি পরীক্ষা শুরু হলে পরীক্ষার্থীদের কাদা মাটি মাড়িয়ে যেতে হয় পরীক্ষাকেন্দ্রে। তাতে করে অসহনীয় ভোগান্তি হয় পরীক্ষার্থী–শিক্ষক ও অভিভাবকদের। অনেক পরীক্ষার্থী জামাকাপড় নষ্ট হয় ময়লা পানি আর কাদাতে।
এসএসসি পরীক্ষার্থী মৌসুমি আক্তার বলেন, ‘প্রতিদিন পরীক্ষায় অংশ নিতে এই সড়কের কাদা মাটি মাড়িয়ে আমাদের পরীক্ষাকেন্দ্রে যেতে হয়। যানবাহন চলাচলের কারণে কাদা মাটি ছিটে জামাকাপড় নষ্ট হয়।’
অপর পরীক্ষার্থী নাঈম হাসান বলেন, ‘পায়ে হেঁটে চলাচল করা খুবই সমস্যা। শত শত শিক্ষার্থী প্রতিদিন কাদা মাটি মাড়িয়ে যাতায়াত করতে হয়। অল্প রাস্তার জন্য আমাদের খুবই ভোগান্তি।’
অভিভাবক মো. মনির হোসেন বলেন, ‘মেয়েকে নিয়ে প্রতিদিন পরীক্ষাকেন্দ্রে আসি। মহাসড়কে নামার পর ৫০০ মিটার রাস্তায় খুবই ভোগান্তি হয়। হেঁটে চলাচলের সময় কাদা মাটি ছিটে জামাকাপড় নষ্ট হয়ে যায়।’
স্থানীয় ব্যবসায়ী হারুন অর রশিদ বলেন, ‘এই সড়কের ৫০০ মিটার এখন খুবই বেহাল অবস্থা। খানাখন্দভরা রাস্তাটুকু দিয়ে পায়ে হেঁটে চলাচল করা সমস্যা। আমাদের মালামাল আনা–নেওয়া খুবই কঠিন। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে রাস্তা সংস্কারের দাবি করে আসলেও কাজে আসছে না।’
স্থানীয় হাজী ছোট কলিম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল হান্নান সজল বলেন, ‘এ বছর এই কেন্দ্রে প্রায় তিন হাজার পরীক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করছে। অল্প সড়কের জন্য খুবই ভোগান্তি হচ্ছে। ছেলে–মেয়েদের আসতে যেতে ভোগান্তি হচ্ছে। আমাদের দাবি, আগামী পরীক্ষার পূর্বেই যেন রাস্তা সংস্কার হয়।’
তেলিহাটি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আব্দুল বাতেন সরকার বলেন, ‘পরীক্ষাকেন্দ্রের গুরুত্ব বিবেচনা করে অনেক আগেই বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। আশা করি, খুব দ্রুত সড়ক সংস্কার করে ভোগান্তি দূর করা হবে।’
শ্রীপুর উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুস সামাদ পত্তনদার বলেন, ‘আমি এই উপজেলায় অল্প দিন আগে যোগাযোগ করেছি। খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।