আন্তর্জাতিক ডেস্ক : নতুন বছরের প্রথম দিন থেকে বিদেশিদের কানাডায় বাড়ি ও ফ্ল্যাট-অ্যাপার্টমেন্ট কেনা নিষিদ্ধ হচ্ছে। বিভিন্ন দেশের ক্রেতাদের চাহিদার কারণে বাড়ির দাম বাড়তে থাকায় কানাডা সরকার বিদেশিদের জন্য বাড়ি কেনা নিষিদ্ধ করে আইন পাশ করেছে। কানাডার নাগরিকদের নিজেদের সামর্থ্যর মধ্যে আবাসন সুবিধা কেনার সুযোগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকারের বাজেট পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এ আইন করা হয়েছে।
বিদেশি ক্রেতাদের চাপে বিভিন্ন শহরে কানাডীয় নাগরিকদের ঘরবাড়ির মালিকানা ধরে রাখা কঠিন হয়ে পড়েছে আভাস দিয়ে কানাডার গৃহায়ন মন্ত্রী আহমেদ হুসেন বলেছেন, বাড়ি কখনো পণ্য হওয়া উচিত নয়। বাড়ি হচ্ছে এমন জায়গা যেখানে মানুষ বসবাস করবে, পরিবারগুলো শেকড় ছড়াবে, স্মৃতি সঞ্চয় করবে এবং একসঙ্গে থেকে নিজেদের জীবনকে গড়ে তুলবে।
তিনি বলেন, কানাডার নাগরিকদের বাড়ির মালিকানা ধরে রাখার ও নতুন বাড়ি কেনার সুযোগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার প্রহিবিশন অন দ্য পারচেজ অফ রেসিডেনশিয়ার প্রপার্টি বাই নন-কানাডিয়ানস অ্যাক্ট পাশ করেছে। এ আইনের মাধ্যমে কানাডীয় নয়, এমন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের জন্য প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কানাডায় আবাসন সম্পদ কেনা নিষিদ্ধ হচ্ছে। কানাডার যে সব কোম্পানি ও প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণ বিদেশিদের হাতে, সে সব প্রতিষ্ঠানের জন্যও আবাসিক রিয়েল এস্টেট কেনা নিষিদ্ধ করা হচ্ছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, গত ২৩ জুন কানাডার পার্লামেন্ট প্রহিবিশন অন দ্য পারচেজ অফ রেসিডেনশিয়াল প্রপার্টি বাই নন-কানাডিয়ানস অ্যাক্ট পাশ করে। ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে আইনটি কার্যকর হবে। আগামী দুই বছর এ আইন বলবত থাকবে। আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে কানাডার কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বিদেশিদের আবাসন সম্পদ কেনায় সহযোগিতা করলে চড়া অর্থদণ্ড দিতে হবে।
কানাডা সরকারের এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, নতুন আইনে অনাবাসীদের জন্য কানাডায় বাড়ি ও আবাসন সম্পদ কেনা নিষিদ্ধ হচ্ছে। তবে কয়েকটি শ্রেণির ক্রেতারা এ আইনের আওতার বাইরে থাকবেন। যে সব শরণার্থী ও বিদেশি নাগরিক নিজ দেশে সংঘাত থেকে বাঁচতে কানাডায় আশ্রয় নিয়েছেন ও টেম্পোরারি রেসিডেন্ট স্ট্যাটাস পেয়েছেন, তারা নতুন আইনের আওতাবহির্ভুত বলে বিবেচিত হবেন।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, বিদেশি কূটনীতিক, কনসুলার কর্মী ও আন্তর্জাতিক সংস্থার কর্মীরা নতুন আইনের আওতার বাইরে থাকবেন। বিদেশি শিক্ষার্থী, যারা পূর্ববর্তী পাঁচ বছরের বেশিরভাগ সময় কানাডায় অবস্থান করেছেন, তারাও নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকবেন। যে সব চাকরিজীবী বাড়ি কেনার পূর্ববর্তী চার বছরের মধ্যে কমপক্ষে তিন বছর কানাডায় কাজ করেছেন ও কর পরিশোধ করেছেন, তারাও নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকবেন।
এছাড়া তিনটির বেশি রেসিডেনশিয়াল ইউনিট বা ফ্ল্যাট-অ্যাপার্টমেন্ট রয়েছে, এমন ভবন নতুন নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকবে। একইভাবে কটেজ, কেবিন ও অন্যান্য শ্রেণির সেকেন্ড হাউজ কেনার ক্ষেত্রে নতুন নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে না।
Get the latest News first— Follow us on Zoombangla Google News, Zoombangla X(Twitter) , Zoombangla Facebook, Zoombangla Telegram and subscribe to our Zoombangla Youtube Channel.