গত ২২ নভেম্বর কানাডায় একটি অদ্ভুত ঘটনা ঘটেছে। এক জ্যোর্তিবিদ লক্ষ্য করেন যে, আকাশ থেকে একটি সবুজ রঙের অগ্নিগোলা পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে। তিনি এ বিরল দৃশ্য নিজের ক্যামেরায় ধারণ করতে সক্ষম হয়েছেন।
ডেরেক বোয়েন কানাডার অন্টারিও প্রদেশের বাসিন্দা। পাশাপাশি তিনি জ্যোর্তিবিদ হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন। পৃথিবীর দিকে আকাশ থেকে সবুজ অগ্নিগোলা ধেয়ে আসার বিষয়টি ভিডিওগ্রাফি করতে পেরে নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করছেন।
ঐ দিন ভোরবেলা ডেরেক আকাশে হঠাৎ করে লক্ষ্য করেন যে, কোন একটা বস্তু আকাশ থেকে অবিশ্বাস্য গতিতে উড়ে যাচ্ছিল। সেটি দেখতে উল্কার মত মনে হচ্ছিল। তিনি নিজের ক্যামেরাটা ক্যাপচার করতে সক্ষম হন।
এক ইন্টারভিউতে ডেরেকে বলেন যে, আমার মনে হয় এটি একটি ছোট আকারের গ্রহাণু ছিল। আমি ভাবিনি যে এই বিষয়টি আমি আবিষ্কার করতে পারব। আমি নিজেই বিস্মিত হয়েছি।
ডেরেক ঐ দিন ঘটনার ধারণ করা ভিডিও বার বার দেখেন এবং প্রত্যেকবারই অবাক হচ্ছেন। জ্যোতির্বিজ্ঞানী ডেভিড র্যাঙ্কিন সর্বপ্রথম গ্রহাণু আবিষ্কার করেন। তিনি শতভাগ নিশ্চিত নয় এটি গ্রহাণু নাকি তবে এ বিষয়ে আরো অনুসন্ধান চালাবেন বলে জানিয়েছেন ডেরেক।
গ্রহনুটি তিন ঘন্টা পরে পৃথিবীর বায়ুমন্ডলে প্রবেশ করে। ইতিহাসে ষষ্ঠবারের মতো এরকম আরো একটি ঘটনা ঘটলো। ডেভিড ইনস্টাগ্রাম এর মাধ্যমে তার সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং তার তোলা ছবির প্রশংসা করেন।
ডেভিড এর মত একজন খ্যাতনামা জ্যোতির্বিদ তাকে ফোন করে প্রশংসা করবেন, এই বিষয়টি তিনি ভাবতে পারেননি। তিনি বর্তমানে অনেক বেশি উচ্ছ্বসিত। ডেরেক দারুন একটি মুহূর্তের সঙ্গী হতে পেরে বেশ সন্তুষ্ট।
আসলে গ্রহণুটি বায়ুমন্ডলে পুড়ে যাওয়ার সাথে সাথে তা ছোট শিলা বা উল্কা হয়ে দূর-দূরান্তে ছড়িয়ে পড়ে। নাসা পরবর্তী সময়ে নিশ্চিত হয়ে জানায় যে, গ্রহাণুটির ছোট ছোট শিলা অন্তারিও হ্রদে পড়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।