নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুর: গাজীপুরের কাপাসিয়ায় স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ ও গর্ভপাত করার অভিযোগে একটি হাসপাতালের এক সেবিকাসহ দুইজনকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
কাপাসিয়া থানার ওসি রফিকুল ইসলাম জানান, গত ৬ জুলাই মিয়ার উদ্দিন (৬০) আদালতে হাজির হলে জেল হাজতে পাঠানো হয়। ৮ জুলাই পুলিশ কাপাসিয়া বাজারের একটি হাসপাতালের সেবিকা নুরুন্নাহারকে (৩২) গ্রেপ্তার করে।ধর্ষণ ও গর্ভপাতের অভিযোগে গত ২ জুলাই মেয়েটির বাবা কাপাসিয়া থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ১৪ বছর বয়সী এই মেয়েটি স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির ছাত্রী। তার বাবা অটোরিকশা চালক। গত রমজানে মেয়েটির মা মারা গেছেন। চার বোনের মধ্যে সে সবার ছোটো। বড়ো তিনজন বিয়ের পর স্বামীর বাড়ি আছেন।
মামলার বাদী বলেন, মিয়ার উদ্দিন তার চাচাত ভাই। প্রলোভন দেখিয়ে গত ২৫ এপ্রিল মিয়ার উদ্দিন বাড়ির পাশে ফোরকানানিয়া মাদ্রাসায় প্রথম তার মেয়েকে ধর্ষণ করেন। এরপরও একাধিকবার ধর্ষণ করেছেন। লজ্জায় মেয়ে ধর্ষণের ঘটনা কাউকে বলেনি।
১০/১২ দিন ধরে ঘন ঘন বমি হলে কিশোরী তার বড় বোনের কাছে ঘটনাটি খুলে বলে। ইতোমধ্যে সে দুই মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে।
মিয়ার উদ্দিন ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন বলে মামলায় বলা হয়েছে।
মামলায় আরও অভিযোগ করা হয়, বাদীকে সম্মানহানির ভয় দেখিয়ে এক পর্যায়ে মিয়ার উদ্দিনের স্ত্রী গত ২৫ জুন স্থানীয় কাপাসিয়া বাজারে একটি হাসপাতালের পাশে একটি বাড়িতে রেখে গর্ভপাত করানো হয়। এ কাজে মিয়ার উদ্দিনকে সহায়তা করেন স্থানীয় আব্দুর রাজ্জাক, মফিজউদ্দিন ও মিলন মোল্লা।
কাপাসিয়া থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, মামলার পর মিয়ার উদ্দিন গত ৬ জুলাই আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। দুদিন পর ৮ জুলাই স্থানীয় একটি হাসপাতালের সেবিকা নুরুন্নাহারকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাকেও আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠনো হয়েছে। মামলার অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হচ্ছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।