জুমবাংলা ডেস্ক: রাঙ্গামাটি জেলার কাপ্তাই হ্রদে পানি কমে যাওয়াসহ হ্রদে কার্প জাতীয় মাছের প্রজনন বৃদ্ধির লক্ষ্যে আজ মধ্যরাত থেকে আগামী ১৯ জুলাই পর্যন্ত এশিয়ার বৃহত্তম কৃত্রিম হ্রদ কাপ্তাই হ্রদে তিনমাসের জন্য সব ধরণের মাছ আহরণ ও বাজারজাতকরণের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসন।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বৃহৎ কৃত্রিম জলাধারে কার্প জাতীয় মাছের বংশবিস্তার ও প্রাকৃতিক প্রজনন নিশ্চিতকরণে অন্যান্য বছরের মতো জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এবারো হ্রদে আগামী তিনমাস সব ধরনের মাছ শিকার, বাজারজাতকরণ এবং পরিবহনের ওপর এই নিষেধাজ্ঞা জারী করা হয়।
বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন ও বিপণন কেন্দ্রের মার্কেটিং অফিসার কাজী মঞ্জুরুল আলম করপোরেশন (বিএফডিসি) সূত্র জানিয়েছে, নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়ে স্থানীয় বরফ কল বন্ধ থাকবে এবং পাশাপাশি স্থানীয় বাজারসমূহ ও কাপ্তাই হ্রদ মনিটরিং করা হবে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান জানান, কাপ্তাই হ্রদে পানি কমে যাওয়ার কারনে এবং হ্রদে কার্প জাতীয় মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন বৃদ্ধির লক্ষ্যে এবার অন্যান্য বছরের তুলনায় ১০ দিন আগেই হ্রদে আগামী তিনমাস সব ধরণের মাছ আহরণ, বাজারজাতকরণের উপর নিষেধাজ্ঞা জারী করা হয়েছে এবং এই নিষেধাজ্ঞা আজ থেকেই কার্যকর করা হয়েছে।
কাপ্তাই হ্রদে নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়ে মাছ আহরণের ওপর নির্ভরশীল জেলে পরিবারকে বিশেষ ভিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে সরকারের পক্ষ থেকে খাদ্যশস্য সহায়তা প্রদান করা হবে বলে জানান জেলা প্রশাসক।
তিনি জানান, বন্ধকালীন সময়ে হ্রদে অবৈধ উপায়ে মাছ আহরণ, পরিবহন ও বাজারজাতকরণ বন্ধ করতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার পাশাপাশি কাপ্তাই হ্রদের গুরুত্বর্পূর্ণ স্থানে নৌ-পুলিশ মোতায়েন করা হবে।
কাপ্তাই হ্রদ মৎস্য উন্নয়ন ও বিপণন কেন্দ্রের মার্কেটিং অফিসার কাজী মঞ্জুরুল আলম বলেন, বুধবার দিবাগত মধ্যরাত অর্থাৎ ২০ এপ্রিল রাত ১২টা থেকে কাপ্তাই হ্রদে সব ধরণের মাছ আহরণ, অবতরণ ও বাজারজাতকরণ বন্ধ করা হয়েছে।
এর আগে, গত ১০ এপ্রিল জেলা প্রশাসন সম্মেলন কক্ষে এক জরুরী বৈঠকে কাপ্তাই হ্রদে তিনমাস মৎস্য আহরণের উপর নিষেধাজ্ঞা জারী করার সিদ্ধান্ত নেয় রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসন।
প্রতি বছর ১ মে থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত তিন মাস হ্রদে কার্প জাতীয় মাছের প্রজনন বৃদ্ধির লক্ষ্যে হ্রদে মাছ শিকারের উপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়। নিষেধাজ্ঞা শেষে আগস্ট থেকে আবারো শুরু হয় মাছ আহরণের নতুন মৌসুম, যা শেষ হয় পরবর্তী বছরের এপ্রিলে।
মূলত প্রতি মৌসুমের নয় মাসই কাপ্তাই হ্রদে মাছ আহরণ করা হয়ে থাকে। রাঙ্গামাটির আট উপজেলা ও খাগড়াছড়ির দুই উপজেলা নিয়ে বিস্তৃত এ কাপ্তাই হ্রদে সরকারি হিসেবে প্রায় ২৫ হাজার নিবন্ধিত জেলে পরিবার মাছ ধরাসহ সংশ্লিষ্ট পেশায় জীবিকা নির্বাহ করে আসছে। বন্ধকালীন সময়ে এসব বেকার জেলে পরিবারকে সরকারিভাবে তিনমাস খাদ্য শষ্য প্রদান করা হয়।-বাসস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।