জুমবাংলা ডেস্ক : পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার মজনু নামে এক মরিচ ব্যবসায়ীর ২১ লাখ টাকার শুকনা মরিচ নিয়ে কাভার্ড ভ্যান উধাও হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ছয় দিন ধরে মরিচ ভর্তি কাভার্ড ভ্যানের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। এদিকে সহায় সম্বল হারিয়ে উপায় না পেয়ে কাভার্ড ভ্যানটির খোঁজ পেতে ট্রাক বন্দোবস্তকারী শাহাদত হোসেনসহ চালকের বিরুদ্ধে তেঁতুলিয়া মডেল থানায় অভিযোগ করেও কাভার্ডভ্যান ও চালকের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। অভিযুক্ত বন্দোবস্তকারী শাহাদাত হোসেন বর্তমানে বিষয়টি এড়িয়ে যাচ্ছেন বলে জানান ব্যবসায়ী।
অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায় মরিচ ব্যবসায়ী মজনু দীর্ঘদিন ধরে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় মরিচের ব্যবসা করে আসছেন। নোয়াখালী ময়মনসিংহসহ জেলার বাইরে থেকে মরিচ আড়ৎদারদের সাথে নিয়মিত মরিচ সরবরাহ করে ব্যবসা করছেন তিনি।
গত ১৯ অক্টোবর নোয়াখালী জেলার চৌমুহনীতে প্রায় ছয় টন মরিচ সরবরাহের জন্য ট্রাক খুঁজছিলেন। এ সময় ট্রাক বন্দোবস্তকারী দুলালের সঙ্গে যোগাযোগ হলে দুলাল কাভার্ড ভ্যানের ব্যবস্থা করে দেওয়ার আশ্বাস দেয়। পরে দুলাল স্থানীয় অপর ট্রাক বন্দোবস্তকারী শাহাদাতের মাধ্যমে একটি কাভার্ড ভ্যানের ব্যবস্থা করে দেয়। ওই দিনই বিকেলে উপজেলার শালবাহান বাজারে ১১৭টি বস্তা ভর্তি প্রায় ২১ লাখ টাকার শুকনা মরিচ কাভার্ড ভ্যানে লোড দেওয়ার পর সন্ধ্যায় মরিচ নিয়ে চালক মো. রিয়াদ (৩৫) রওয়ানা দেন। দুই থেকে তিন দিন পর চৌমুহনীতে মরিচ পৌঁছে দেওয়ার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত চালক ও কাভার্ডভ্যানটিকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। চালকের মোবাইল ফোনে বার বার যোগাযোগ করা হলেও বন্ধ পাওয়া যায়। এদিকে ছয় দিন ধরে বিভিন্নভাবে কাভার্ডভ্যানটিকে হন্যে হয়ে খুঁজে বেড়াচ্ছেন মরিচ ব্যবসায়ী মজনু।
মজনু জানান, তেঁতুলিয়া উপজেলার শাহাদাত নামে একজনের মাধ্যমে ট্রাক বন্দোবস্তকারী দুলাল আমাকে কাভার্ডভ্যানটি ভাড়া করে দেয়। এখন পর্যন্ত কাভার্ডভ্যানের কোনো খোঁজ মিলছে না। থানায় অভিযোগ দেওয়ার পর পুলিশ তিন দিনের মধ্যে কাভার্ডভ্যানের সন্ধান পেতে পারে বলে আমাকে আশ্বস্ত করেছেন। যদি কাভার্ড ভ্যানের সন্ধান পাওয়া না যায় তাহলে আমি পুঁজি হারিয়ে পথে বসে যাব।
এদিকে ট্রাক বন্দোবোস্তকারী শাহাদাত হোসেন জানায়, চালক রিয়াদ আমার পূর্বপরিচিত। সে গত কয়েক দিন আগে আমার বাসায় এসেছিল। আমার কাছে কাভার্ডভ্যানে পণ্য পরিবহনের জন্য পার্টিদের সঙ্গে যোগাযোগের কথা বলেছিল। কিন্তু মরিচ পরিবহনের কোনো ট্রিপ আমি তাকে বন্দোবস্ত করে দিইনি।
তেঁতুলিয়া মডেল থানার ওসি আবু সাইদ চৌধুরী জানায়, মরিচ ভর্তি কাভার্ডভ্যান ও চালক নিরুদ্দেশ হওয়া নিয়ে দুলাল নামে এক ব্যক্তি অভিযোগ দায়ের করেছেন।বর্তমানে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় আমাদের তদন্ত চলমান আছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।