আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের পার্শ্ববর্তী একটি কারাগারে ঢুকে সব বন্দিদের ছেড়ে দিয়েছেন বিদ্রোহীরা।
হোমস শহর দখলের পর রাজধানী দামেস্কে ঢুকতে শুরু করেছেন বিদ্রোহীরা। দামেস্কের সন্নিকটে সেদনায়া কারাগারে ঢুকে বন্দিদের মুক্ত করে দেন বিদ্রোহী যোদ্ধারা। খবর আল-জাজিরা
পরে এক বিবৃতিতে বিদ্রোহীরা জানান, “আমরা সেদনায়া কারাগারের অত্যাচার-নির্যাতন অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘোষণা করছি।”
অধিকার গোষ্ঠীগুলোর মতে, ওই কারাগারে সিরিয়ার সরকারি বাহিনী বন্দিদের ওপর ভয়ঙ্কর নির্যাতন করতো।
এদিকে, যেকোনও সময় দেশটির স্বৈরশাসক বাশার সরকারের পতন ঘটতে যাচ্ছে বলে বলে জানিয়েছেন বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শামের (এইচটিএস) প্রধান আবু মোহাম্মদ আল-জোলানি।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, হোমস শহর নিয়ন্ত্রণের নেওয়ার পর কোনও ধরনের বাধা ছাড়াই রাজধানী দামেস্কে ঢুকতে শুরু করেছেন বিদ্রোহী যোদ্ধারা। এর ফলে খুব শিগগিরই বাশার আল–আসাদ সরকারের পতন ঘটতে যাচ্ছে।
এক বার্তায় মোহাম্মদ আল-জোলানি যোদ্ধাদের সাধারণ মানুষের প্রতি ভালো আচরণ করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “আমার ভাইয়েরা, আপনাদের প্রতি আমি আবারও আহ্বান জানাচ্ছি- আপনারা যেসব শহর ও গ্রামে প্রবেশ করবেন, সেখানকার মানুষের সঙ্গে সদয় ও নম্র আচরণ করবেন।”
তিনি অস্ত্র সমর্পণ করার পর সরকারি বাহিনীকে সাধারণ ক্ষমা করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
এদিকে ইরাকের সীমান্তবর্তী সিরিয়ার আল-কায়িম শহরের মেয়র বলেছেন, প্রায় দুই হাজার সিরিয়ান সেনা সীমান্ত পার হয়ে ইরাকে আশ্রয় নিয়েছেন।
সিরিয়ার স্থানীয় বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে, দামেস্কের চারপাশ থেকে সরকারি সেনারা তাদের অবস্থান থেকে সরে যাওয়ায় সেখানে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
বিরোধী বাহিনী পশ্চিম দামেস্কের গ্রামাঞ্চলে অগ্রসর হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে সূত্রগুলো। তারা বলেছে, পূর্ব ঘোউতার বিভিন্ন শহর থেকে সরকারি সেনা প্রত্যাহার করা হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে দামেস্কের বাজারগুলোয় খাদ্যপণ্য কিনতে মানুষের ভিড় লক্ষ করা গেছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।