নিজস্ব প্রতিবেদক: অবশেষে মুক্তি পেয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রিজন সেল থেকে বের হয়ে গুলশানের বাসা ফিরোজর পথে রওয়ানা হয়েছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। দুই বছরেরও বেশি সময় কারাভোগের পর বুধবার খোলা আকাশের নিচে এলেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।
বিকাল ৪টা ২৫ মিনিটে তাঁকে বহনকারী গাড়িটি হাসপাতালের মেইন গেইট থেকে বের হয়।
সরকারের দেওয়া দুই শর্তের ভিত্তিতে আজ বেলা তিনটার কিছুক্ষণ পর মুক্তি পেয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
বিএনপি চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব আব্দুস সাত্তার গণমাধ্যমকে জানান, বেলা ৩টা পাঁচ মিনিটের দিকে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়া হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রিজন সেল থেকে মুক্তি দেওয়ার পর তাঁকে নিয়ে গুলশানের বাসভবনে নিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য হাসপাতাল থেকে নেত্রীকে বের করতে একটু দেরি হয়েছে।
হাসপাতালে খালেদা জিয়াকে গ্রহণ করেন তাঁর ভাই শামীম ইস্কান্দারসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা এবং বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফকরুল ইসলাম আলমগীর।
এদিকে, খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানানোর জন্য সেখানে জড়ো হয়েছেন বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরাও। তাদের ভিড় সরাতে হিমসিম খাচ্ছেন নেতৃবৃন্দ। যদিও করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে সতর্কতার অংশ হিসেবে সেখানে কর্মী-সমর্থকদের ভিড় না করতে নির্দেশ দেওয়া হয় দলের শীর্ষ পর্যায় থেকে। কিন্তু সেই নির্দেশ অনেকেই মানছেন না। তবে যারা তার কাছাকাছি থাকবেন তাদেরকে প্রয়োজনীয় ব্যক্তিগত সুরক্ষাব্যবস্থা নিয়ে যেতে হচ্ছে।
এর আগে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছোটভাই শামীম ইস্কান্দারের জিম্মায় কিছুক্ষণের মধ্যেই মুক্তি দেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, দুটি শর্তে তাকে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে। এক ঢাকার নিজ বাসায় তার চিকিৎসাসেবা নিতে হবে ও দেশের বাইরে ভ্রমণ করতে পারবেন না। জিওতে (গর্ভমেন্ট অর্ডা) স্বাক্ষর হয়ে গেছে। আরও কিছু আনুষ্ঠানিকতা আছে, সেটা সম্পন্ন হলে খালেদা জিয়াকে ছাড়া হবে।
মঙ্গলবার বিকালে হঠাৎ করেই ডাকা সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়াকে মুক্তির বিষয়ে সিদ্ধান্তের কথা জানান আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
তিনি বলেন, মানবিক দিক বিবেচনায় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে দুই শর্তে তাকে মুক্তি দেওয়ার এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। খালেদা জিয়া বাসায় থেকে চিকিৎসা নেবেন এবং বিদেশ যেতে পারবেন না- এমন শর্তে তাকে মুক্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ১৭ বছরের কারাদণ্ড নিয়ে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাগারে বন্দি ছিলেন খালেদা জিয়া।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।