নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে। গতকাল সোমবার দেশের বিভিন্ন খুচরা বাজারে কেজি প্রতি পেঁয়াজের দাম ছিল ১৮০ থেকে ২০০ টাকা।
আজ উড়োজাহাজে পেঁয়াজের প্রথম চালান আসতে পারে বলে জানিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এই পেঁয়াজ বাজার ছাড়া হলে কয়েকদিনের মধ্যে দাম আরও কমে আসবে বলে জানান সংশ্নিষ্টরা।
বাণিজ্য সচিব জাফর উদ্দীন গণমাধ্যমকে বলেন, আজ এস আলম গ্রুপের পেঁয়াজের প্রথম চালান উড়োজাহাজে দেশে আসতে পারে। এই পেঁয়াজ আসলে টিসিবির মাধ্যমে বিক্রি বাড়ানো হবে।
তিনি জানান, নিয়মিত বাজার তদারকি করা হচ্ছে। কোনো ব্যবসায়ী অযৌক্তিক দামে বিক্রি করলে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আমদানি করা পেঁয়াজের সবকটি চালান দ্রুত আনার চেষ্টা চলছে।
এদিকে, পেঁয়াজ আমদানির খবরে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা মজুদ পেঁয়াজ দ্রুত বাজারে ছাড়ছেন। আবার দেশি নতুন পেঁয়াজ আগাম তুলে বাজারে ছাড়ছেন কৃষকরা। ফলে বাজারে সরবরাহ বাড়ায় দাম কমছে। এছাড়া, মাঠে জোর তৎপরতা চালাচ্ছে সরকারের বিভিন্ন সংস্থার মনিটরিং টিম, গোয়েন্দা সংস্থা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তাদের অভিযান ও তদারকিতে পেঁয়াজের দামে ইতিবাচক প্রভাব পড়ছে বলে মনে করেন সংশ্নিষ্টরা।
রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা আজ দেখা গেছে, ব্যবসায়ীরা খুচরায় প্রতিকেজি দেশি ও মিয়ানমারের পেঁয়াজ ১৮০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি করছে যা গত রবিবার ছিল ২৪০ থেকে ২৬০ টাকা।
কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গতকাল রজধানীর বাজারে খুচরায় প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ ২০০ থেকে ২১০ টাকা ও আমদানি করা পেঁয়াজ ১৭০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হয়।
রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য অনুযায়ী, দেশি পেঁয়াজ এখন ২০০ থেকে ২১৫ টাকা এবং আমদানি করা পেঁয়াজ ১৮০ থেকে ২০০ টাকা। গত বছরের এই সময়ে যথাক্রমে দেশি পেঁয়াজ ৩৫ থেকে ৪০ টাকা ও আমদানি করা ২৫ থেকে ৩৫ টাকা ছিল।
গত শনিবার মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আব্দুল লতিফ বকসীর পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এস আলম গ্রুপ বিপুল পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানি করছে। কার্গো বিমানে এটি তার প্রথম চালান। পর্যায়ক্রমে অন্য আমদানিকারকদের আমদানি করা পেঁয়াজ কার্গো উড়োজাহাজ যোগে ঢাকায় পৌঁছাবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, কম দাম ও সহজ পরিবহনের কারণে ভারত থেকে প্রয়োজনীয় পেঁয়াজ আমদানি করা হয়। ভারতের মহারাষ্ট্র ও অন্য এলাকায় বন্যার কারণে পেঁয়াজের ফলন ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে কিছুদিন আগে রপ্তানির ক্ষেত্রে ভারত প্রতি মেট্রিক টন পেঁয়াজের মিনিমাম এক্সপোর্ট প্রাইস (এমইপি) নির্ধারণ করে দেয়।
গত ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে ভারত কর্তৃপক্ষ পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ ঘোষণা করে। বিকল্প হিসেবে বাংলাদেশ মিয়ানমার থেকে এলসি এবং বর্ডার ট্রেডের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় পেঁয়াজ আমদানি শুরু করেছে। মিসর ও তুরস্ক থেকেও এলসির মাধ্যমে পেঁয়াজ আমদানি শুরু করা হয়। সম্প্রতি মিয়ানমারও পেঁয়াজের দাম বাড়িয়েছে। এতে বাংলাদেশের বাজারে এর প্রভাব পড়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।