চট্টগ্রাম প্রতিনিধি: আগামীকাল (৮ জুলাই) থেকে কর্ণফুলী নদীর ক্যাপিটাল ড্রেজিং প্রকল্পের আওতায় চট্টগ্রামের সদরঘাটে নির্মিত ৪নং লাইটার জেটি চালুর উদ্যোগ নিয়েছে ইজারাদার প্রতিষ্ঠান কেএসআরএম স্টিল প্ল্যান্ট লিমিটেড।
সকাল ১০টায় জেটিটির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ও ইজারাদার প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন বলে নিশ্চিত করেছেন কেএসআরএমের মিডিয়া এ্যাডভাইজার মিজানুল ইসলাম।
গত ৪ জুলাই চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান এই লাইটার জেটি পরিদর্শনের করে অতিদ্রুত (সর্বোচ্চ ৭ দিনের মধ্যে) চালু করার জন্য ইজারাদারদের তাগাদা দেন।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ বন্দরের কার্যক্রমে গতিশীলতা আনার জন্য ৪টি লাইটার জেটি নির্মাণ করে বেসরকারিভাবে কার্যক্রম পরিচালনার উদ্যোগ নেয়। সেই প্রেক্ষাপটে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে কেএসআরএম ৪নং সদরঘাট লাইটার জেটির ইজারা পায়।
অন্য তিনটি লাইটার জেটির ইজারাদার হলো- ১ নং রুবি ফুড, ২ নং বিএসআরএম ও ৩ নং একেএস।
কয়েকদিনের মধ্যে পর্যায়ক্রমে এসব জেটিও চালুর উদ্যোগ নিয়েছে সংশ্লিষ্ট ইজারাদাররা। এসব জেটি চালু করার পর সত্যিকার অর্থে জেটি পরিচালনার (জেটি সংলগ্ন নদীর নাব্যতা, মালামাল নামানো, ট্রাকে করে স্ব স্ব গুদামে পরিবহন, ক্রেন, বিদ্যুৎ, রাস্তা ব্যবহারের উপযোগিতা ইত্যাদি) অভিজ্ঞতা ইজারাদাররা বন্দর কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানাবে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বন্দর কর্তৃপক্ষ পরবর্তী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, কর্ণফুলী নদীর ক্যাপিটাল ড্রেজিং প্রকল্পের আওতায় ২০১৩ সালে সদরঘাটে চারটি লাইটারেজ জেটি নির্মাণ করা হয়। ওই এলাকায় বালি জমে নদীর তলদেশ ভরাট হয়ে যাওয়ায় জেটিগুলো ব্যবহার করা যায়নি। ২০১৮ সালে নতুন করে ক্যাপিটাল ড্রেজিং শুরু হওয়ার পর বালি অপসারণ করে জেটি জাহাজ ভেড়ার উপযোগী করা হয়।
নতুন ক্যাপিটাল ড্রেজিং প্রকল্পের আওতায় সদরঘাটে অবস্থিত চার লাইটারেজ জেটির বালি অপসারণ করে ৪ মিটার গভীর করা হয়েছে। ফলে এসব জেটিতে এখন অনায়াসেই লাইটার জাহাজ (অভ্যন্তরীণ রুটের পণ্যবাহী জাহাজ) ভিড়তে পারবে।
গত বছরের জুনে পানগাঁও কনটেইনার টার্মিনাল রুটের দুটি জাহাজ ভিড়িয়ে ড্রাফট পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষা সফল হয়েছে। এখন জেটি চারটি জাহাজ ভেড়ানোর সম্পূর্ণ উপযোগী।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।