
জুমবাংলা ডেস্ক : বাঙ্গালীর দরজায় কড়া নারছে ঈদুল আযহা (কোরবানির ঈদ)। তাই গরু তৈরিতে ব্যস্ত খামারীরা। ডিজিটালের আলোকবর্তিকা গ্রাম জনপদকে ছুঁয়ে গেলেও কোরবানির হাটে গিয়ে দেখেশুনে কোরবানির গরু না কেনার কথা ভাবাই যায়না। এখন গরুর খামারীদের ব্যস্ততা শুধুই কোরবানী ঈদকে ঘিরে। তবে এবার করোনা কারনে হাটে গিয়ে গরু কেনা হয়তো আর হয়ে উঠবেনা। তবুও থেমে নেই পশুপালন বা বেচা-কেনা।
প্রতি বছর কোরবানির ঈদের আগে ওজন এবং দামে আলোচনায় উঠে আসে নানা বাহারি নামের গরু। এবার সেই তালিকায় ঠাঁই পেয়েছে ময়মনসিংহের ত্রিশাল পৌর এলাকার ‘কালো টাইগার’।
ফ্রিজিয়ান জাতের এ ষাঁড়টি গত চার বছর ধরে লালন পালন করে আসছেন ত্রিশাল উপজেলার পৌর ৬ নং ওয়ার্ড নওধার নদীরপাড় এলাকার নজরুল ইসলাম।
আসন্ন কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে আকর্ষণীয় এ ষাঁড়টিকে দেখতে প্রতিদিনেই নজরুলের বাড়িতে ভিড় জমাচ্ছেন উৎসুক জনতা। ষাঁড়টির ১২ লাখ টাকায় বিক্রির প্রত্যাশা করছেন তিনি। কালো টাইগার ছাড়াও তার খামারে আরও ১৫টি গরু রয়েছে। সবগুলো গরু ঈদ উপলক্ষে বিক্রির জন্য তৈরি করা হয়েছে।
করোনার কারণে এবারের কোরবানির ঈদে দেশের বাইরে থেকে গরু আসার সুযোগ থাকছে না। তাই খামারিরা কোরবানির পশুর যথাযথ মূল্য পাবেন বলেই আশা করছেন। তবে করোনার কারণেই খামারিরা বড় গরুর যথাযথ মূল্য পাবেন কি না তা এখন তাদের চিন্তার বিষয়।
কালো টাইগারের মালিক নজরুল ইসলাম জানান, কালো টাইগার আমার পালিত গাভীর বাচ্চা শখের বশে আদর-যত্ন ভালোবাসা দিয়ে লালন-পালন করায় তার সঙ্গে আমার গভীর সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। আমি ডাকলে বোবা প্রাণী কালো টাইগার আমার দিকে ছুটে আসে। এবার কোরবানির ঈদে কালো টাইগারকে আশা রাখি ১২ থেকে ১৪ লাখ টাকায় বিক্রি করতে পারব। কালো টাইগারের খাবারের জন্য প্রতিদিন দেড় থেকে দুই হাজার টাকা ব্যয় করতে হয়।
স্থানীয় পশু চিকিৎসক হামিদ জানান, কালো টাইগারকে আমি নিয়োমিত চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছি। প্রাকৃতিক খাবার খাইয়ে ষাঁড়টিকে লালন-পালন করা হয়েছে।
অপরদিকে ওজন ও দামে আলোচলায় উঠে এসেছে ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার অপর একটি ষাড় ‘কালো মানিক’
জানা যায়, চার বছর ধরে ফ্রিজিয়ান ষাঁড়টি লালন-পালন করে আসছেন ত্রিশাল উপজেলার ধানীখোলা ইউনিয়নের জাকির হোসেন সুমন। গত বছর কোরবানির ঈদের আগে ষাঁড়টির নাম দিয়েছিলেন ‘কালো মানিক’। ত্রিশালসহ শহরেও নামটি এখন বেশ পরিচিত। এবার ঈদের আকর্ষণীয় এই ষাঁড়টি দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন নানা বয়সের মানুষ। ঈদকে সামনে রেখে সুমন গরুটির দাম হাঁকাচ্ছেন ৩০ লাখ টাকা।
জাকির হোসেন সুমন বলেন, ফ্রিজিয়ান জাতের ষাঁড়টির উচ্চতা ৬ ফুট, আর লম্বা ১০ ফুটেরও বেশি। ওজন ১৫০০ কেজি, অর্থাৎ ৩৭ মণ হবে বলে দাবি সুমনের। ৩০ লাখ টাকা দাম পেলেই তিনি গরুটি বিক্রি করবেন বলে জানান।
এবারের কোরবানি ঈদে দেশের বাইরে থেকে বৈধ ও অবৈধ গরু আসার সুযোগ না থাকায় মালিকরা গবাদি পশুর ন্যায্যমূল্য পাবেন বলে আশা প্রকাশ করেন জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা। তবে করোনা সংক্রমণ রোধে গবাদি পশু অনলাইনে কেনাকাটায় প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।
এছাড়াও দাম ও ওজনে আলোচনায় এসেছে ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার সিডস্টোর পশ্চিমপাড়া বায়তুন নূর জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা মিজানুর রহমানের ২২ মন ওজনের ষাড় ‘বাহাদুর’। তার এই ফ্রিজিয়ান জাতের ষাড়টি দেখতেও প্রতিদিন ভিড় জমাচ্ছেন বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ।
মাওলানা মিজানুর রহমান জানান, সিডস্টোর বাজারের পশ্চিম পাশে (বায়তুন নূর জামে মসজিদ সংলগ্ন) তার একটি গরুর খামার রয়েছে। তার খামারে এখন ৪টি গরু রয়েছে।
তিনি আরও জানান, তার ষাড়টি গত এক সপ্তাহ আগে স্কেলে তুলতে তার ওজন পাওয়া যায় ২২ মণ। উচ্চতা প্রায় ৫ ফুট, আর লম্বা ৯ ফুট। তিনি আশা করছেন ৭ থেকে ৮ লাখ টাকায় বিক্রি করতে পারবেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



