জুমবাংলা ডেস্ক : ঋতু পরিক্রমায় প্রকৃতিতে এখন শরতের আবেশ। মেঘের ভেলা ভাসিয়ে শরৎকালের জানান দিচ্ছে নীল আকাশ। এরই মাঝে শুভ্রতায় মোড়ানো কাশফুল অপরূপ সৌন্দর্য্য ছড়াচ্ছে। প্রতিদিনই কাশবনে সৌন্দর্য্য পিপাসুরা ভিড় জমান প্রকৃতির স্নিগ্ধতার পরশ নিতে। সাদা কেশর দুলিয়ে শরতের কাশফুল শুধু যে সৌন্দর্যের দ্যুতি ছড়ায় তা নয়, এ অঞ্চলে কাশফুল জীবিকার খোরাকও জোগায়। কাশফুলের খড়, ছন আর ঝাটিতে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন স্থানীয় গরীব মানুষরা। এতে চলছে তাদের জীবন-জীবিকা।
তাড়াশে ঘরগ্রাম, দিঘি সগুনা, কুন্দইল,বারুহাঁসসহ সড়ক সংলগ্ন অনেক জায়গায় প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে ওঠা কাশবনে জীবিকার সন্ধান করেন শতাধিক পরিবার। কাশ বন থেকে পাওয়া আগাছার মতো ছন, খড় ও ঝাটি পানের বরজের জন্য খুবই দরকারি। এছাড়া এগুলো শুকিয়ে জ্বালানি হিসেবেও ব্যবহার করা যায়।
উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে কাশবনের ছন,খড় ও ঝাটি সংগ্রহ করেন। এ কারণে কাশ ফুলের মৌসুম শেষ হলেও এর চাহিদা থাকে প্রচুর।
কাশবন থেকে খড় ও ঝাটি তুলতে আসা কাজলি বলেন, ‘কাশবনের ছন দিয়ে পানের বরজে ছাউনি দেওয়া আর পান গাছের শলার সঙ্গে উপরে বেঁধে রাখা যায়। সুতা বা দড়ি দিয়ে বাঁধলে তা স্থায়ীত্ব পায় না, কিন্তু ছন দিয়ে বাঁধলে অনেক দিন থাকে। এ কারণে বরজে খড় বা ছন ব্যবহার করা হয়।
কাশবন কেটে অনেকে আবার পাইকারের কাছে ছন, খড় ও ঝাটি বিক্রি করেন। এক আঁটি পাঁচ টাকা আর ভ্যান ভর্তি শুকনো ছন ২ থেকে ৩শ টাকায় বিক্রি হয়। শরৎকাল শেষ হবার সঙ্গে সঙ্গেই কাশবনের সাদা ফুল ঝরে পরে। তখনই এ মৌসুমী কাজ শুরু হয়। ঝামেলাবিহীন ও উৎপাদন খরচ না থাকায় বেশ জনপ্রিয় এ কাজ। এতে স্থানীয় গরীব মানুষে দু’পয়সা আয় হয়, চলে জীবিকা।
এছাড়া আশপাশের কয়েকটি অঞ্চলে কাশবন থেকে পাওয়া ছন, ঝাটি থেকে গৃহস্থালির বিভিন্ন প্রয়োজনীয় সামগ্রী, শো-পিসসহ অনেক দৃষ্টিনন্দন দ্রব্যাদি প্রস্তুত করা হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।