স্পোর্টস ডেস্ক: না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি ক্রিকেটার রড মার্শ। তার বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর।
বুলস মাস্টার্স চ্যারিটি গ্রুপের একটি ইভেন্টে যোগ দিতে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি বুন্ডাবার্গে গিয়েছিলেন মার্শ। সেখানেই হার্ট অ্যাটাক হয় তার। এরপর বুলস মাস্টার্সের আয়োজক জন গ্লানভিলে ও ডেভিড হিলিয়ের মার্শকে দ্রুত কুইন্সল্যান্ডের এক হাসপাতালে নিয়ে যান।
পরবর্তীতে অ্যাডিলেডের একটি হাসপাতালে নেয়া হয় মার্শকে। সেখানে এক সপ্তাহ থাকার পর শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক এ ক্রিকেটার।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ১৯৭০ থেকে ১৯৮৪ পর্যন্ত ৯৬টি টেস্ট ও ৯২টি ওয়ানডে খেলেছেন মার্শ। ক্যারিয়ার শেষে অবসরে যাওয়ার সময় টেস্টে বিশে^র সর্বোচ্চ ৩৫৫টি ডিসমিসালের রেকর্ডের মালিক ছিলেন মার্শ।
আশি দশকে স্কোরকার্ডে একটি বাক্য খুব পরিচিত ছিল। তা’হল- ক্যাচ মার্শ বল লিলি। এর মানে, ডেনিস লিলির বলে ক্যাচ ধরেছেন মার্শ। টেস্ট ক্রিকেটে লিলির বলে মার্শের ৯৫টি ক্যাচ এখনও বোলার-ফিল্ডার বা উইকেটরক্ষকের জুটির রেকর্ড।
শুধুমাত্র উইকেটরক্ষক হিসেবেই নয়, ব্যাট হাতেও আক্রমনাত্মক ব্যাটার ছিলেন মার্শ। অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট ইতিহাসে প্রথম উইকেটরক্ষক হিসেবে সেঞ্চুরির কীর্তি গড়েন তিনি। ১৯৭৭ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি ছিলো তার।
বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে টেস্টে ৩৬৩৩ রান ও ওয়ানডেতে ১২২৫ রান করেছেন উইকেটরক্ষক-ব্যাটার মার্শ। টেস্ট ৩৪৩টি ক্যাচ ও ১২ টি স্টাম্পিং এবং ওয়ানডেতে ১২০টি ক্যাচ ও ৪টি স্টাম্প করেছেন তিনি।
১৯৮৪ সালে অবসরের পরও ক্রিকেটের সাথেই ছিলেন মার্শ। কোচ, ধারাভাষ্যকার এবং অস্ট্রেলিয়া দলের জাতীয় নির্বাচক হিসেবে কাজ করেছেন তিনি। ২০১৪ সালে দু’বছরের জন্য অস্ট্রেলিয়া দলের জাতীয় নির্বাচক ছিলেন মার্শ।
২০০৫ সালে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার হল অব ফেমে অন্তর্ভুক্ত হন মার্শ। এরপর তিনি ২০০৯ সালে আইসিসির হল অব ফেমেও অন্তর্ভুক্ত হন।
মার্শের মৃত্যুতে রাওয়ালপিন্ডিতে আজ শুরু হওয়া অস্ট্রেলিয়া-পাকিস্তানের মধ্যকার প্রথম টেস্টে কালো ব্যাজ পড়ে খেলতে নেমেছে অসি ক্রিকেটাররা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।