বিজ্ঞান ও প্রযক্তি ডেস্ক : এখনকার মোটরসাইকেলগুলোতে কিক স্টার্টারের পাশাপাশি সেলফ স্টার্টার থাকে। কিছু মোটরবাইকে শুধু সেলফ স্টার্টারই থাকে। তখন সেলফ ছাড়া বাইক স্টার্ট করার সুযোগ নেই। অনেকের মনেই প্রশ্ন সেলফ স্টার্ট বেশি ব্যবহার করলে কি ইঞ্জিন দ্রুত খারাপ হয়ে যায়? এমন দাবি কি সত্যি?
টু হুইলার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সেলফ স্টার্টারের প্রভাব সরাসরি ব্যাটারির অবস্থার উপর নির্ভর করে। ব্যাটারি যদি ভালো থাকে, যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়, তাহলে যত খুশি সেলফ স্টার্ট করা হোক না কেন, গাড়িতে কোনও প্রভাব পড়বে না।
কিক স্টার্ট উঠে গেছে বললেই চলে। সব বাইকেই এখন থাকে সেলফ স্টার্ট টেকনোলজি। এতে চালকদেরও সুবিধা। খাটতে হয় না। বাটন প্রেস করলেই বাইক চলতে শুরু করে। ইদানীং অনেক বাইকে আবার সাইলেন্ট স্টার্ট সিস্টেমও এসে গিয়েছে। কোনও শব্দ ছাড়াই ইঞ্জিন চালু হয়ে যায়।
বাইক দীর্ঘদিন না চালালে ব্যাটারি ঠিক মতো কাজ করে না। এটা খুব স্বাভাবিক। কোনও প্রযুক্তিগত ত্রুটি নয়। এই পরিস্থিতিতে সেলফ স্টার্টের মাধ্যমে ইঞ্জিন চালু করা শক্ত কাজ।
যাইহোক, সেলফ স্টার্ট সহজ এবং নিরাপদ প্রক্রিয়া। কোনও অতিরিক্ত চাপ ছাড়াই ইগনিশন সিস্টেম সক্রিয় হয়। ফলে ইঞ্জিন চলতে শুরু করে। এভাবে ইঞ্জিন চালু করলে দূষণ কম হয়। তেল কম পোড়ে। সোজা কথায়, সব দিক থেকেই লাভজনক।
সেলফ স্টার্ট প্রযুক্তিতে চালকদের সুবিধা হয়েছে। বাইক চালু করতে কাঠখড় পোড়াতে হয় না। যারা নতুন বাইক চালানো শিখেছেন, তাদের কাছে এই প্রযুক্তি আশীর্বাদস্বরূপ।
তবে সেলফ স্টার্টের ফায়দা তুলতে চাইলে বাইকের নিয়মিত সার্ভিসিং এবং টেকনিক্যাল মেইনটেনেন্স করা জরুরি। টু হুইলার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চালককে নিয়মিত ব্যাটারির অবস্থা পরীক্ষা করে দেখতে হবে। কোনও ত্রুটি দেখা দিলে সময়মতো মেরামত করা উচিত।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।