বিনোদন ডেস্ক: পাঠান বিতর্কের জেরে চর্চার কেন্দ্রে বলিউডের সুপারস্টার দীপিকা পাড়ুকোন। বোল্ড পোশাক পরার জন্য নানা কটাক্ষের শিকার হতে হচ্ছে তাঁকে। বেশরম রং গানের শেষ দৃশ্যে কেন দীপিকাকে গেরুয়া রঙের মনোকিনি পরানো হয়েছে, তা নিয়েই বারবার প্রশ্ন উঠছে। এই পরিস্থিতিতে আগুনে ঘি ঢাললেন প্রাক্তন CBI ডিরেক্টর এম নগেশ্বর রাও। তিনি কটাক্ষ করেছেন দীপিকা পাড়ুকোনের স্বামী রণবীর সিংকে।
বৃহস্পতিবার প্রাক্তন CBI আধিকারিকের টুইট, “হোয়াট কাইন্ড অফ হাসব্যান্ড অ্যালাউস অর টলারেটস পাবলিক মলেস্টেশন অফ হিজ ওয়াইফ ফর আ ফিউ বাকস? জাস্ট আসকিং!” যার বাংলা তর্জমা করলে দাঁড়ায়, “কেমন স্বামী প্রকাশ্যে নিজের স্ত্রীর সম্মানহানি হতে দেখে? তাও কিছু টাকার জন্য? স্ত্রীকে এই ধরনের প্রজেক্টে কাজ করার অনুমতি দেয় কী ভাবে?”
প্রাক্তন CBI আধিকারিকের ওই মন্তব্য ঘিরে তোলপাড় শুরু হয়ে গিয়েছে। টুইটের সঙ্গে বেশরম রং গানের কিছু দৃশ্য কোলাজ করে আপলোড করেছেন তিনি। মূলত শাহরুখ এবং দীপিকার অন্তরঙ্গ কিছু দৃশ্যকে জুম ইন করে তা আপলোড করেছেন তিনি। যেখানে দীপিকা পাড়ুকোনের কোমর, বক্ষ, নিতম্বের কিছু অংশ দেখা যাচ্ছে। এই টুইটটি অশালীন বলে দাবি করেছেন দীপিকা ভক্তরা। শাহরুখ খানের ভক্তরাও তাঁদের সঙ্গে সহমত পোষণ করেছেন।
বলিউডও কিন্তু নীরব থাকেনি। এম নগেশ্বর রাওকে পরিচালক ওনিরের প্রত্যুত্তর, “ধিক! আপনার মানসিকতাই খারাপ। অ্যালাউ (অনুমতি) বা টলারেটের (সহ্য) মতো শব্দ ব্যবহার করে বুঝিয়ে দিয়েছেন যে আপনি মনে করেন পুরুষরা মহিলাদের তুলনায় বড়। স্ত্রীরা আসলে স্বামীর অধীনস্থ বলেই মনে করে আপনাদের মতো লোকজন।” তাঁর সংযোজন, “আপনি যে মন্তাজ বানিয়েছেন, তা একজন জঘন্য মানসিকতার মানুষই বানাতে পারেন। এখন আপনি অবসর নিয়েছেন। বাড়িতে বসে জুম করা ছাড়া বোধহয় কোনও কাজ নেই।”
পরিচালক বিনোদ কাপরির কটাক্ষ, “যাঁরা দায়িত্বে থাকাকালীন ঠিক করে কোনও মামলার তদন্ত করতে পারত না, আজ তাঁরা বাড়িতে বসে দীপিকা পাড়ুকোনের ছবি জুম করে পোস্ট করছে! কী অদ্ভুত!”
এদিকে দীপিকা পাড়ুকোনকে উদ্দেশ্য করে অশালীন কটাক্ষ করছেন অনেকেই। বিষয়টি নিয়ে ফুঁসে উঠেছে ভারতীয় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি। স্বরা ভাস্কর BJP নেতাদের উদ্দেশ্য করে বলেন, “আপনারা অভিনেত্রীদের জামাকাপড় না দেখে, দেশের এবং দশের কাজে মন দিতে পারেন তো? নিজেদের কাজটা মন দিয়ে করুন।”
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।