নিহত সরফরাজ পার্শ্ববর্তী বিলভর্তি গ্রামের বাসিন্দা। এ ঘটনায় নিহত সরফরাজ মণ্ডলের স্ত্রী কাবাসী বেগম বাদী হয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানায় আনোয়ার হোসেনসহ চারজনকে আসামি করে রোববার একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
নিহতের পরিবারের অভিযোগ, সরফরাজ মণ্ডলের মেয়ে সোনালী আক্তারকে (১৫)একই গ্রামের প্রতিবেশী মৃত দবির উদ্দিনের ছেলে আনোয়ার হোসেন (৩০) প্রায় দুই বছর আগে ভয়ভীতি দেখিয়ে অপহরণ করে অন্যত্র নিয়ে গিয়ে বিয়ে করে। বিয়ের কিছুদিন পর সোনালী খাতুন বাবার বাড়িতে চলে আসে এবং একপর্যায়ে আপস মীমাংসার মাধ্যমে তাদের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়।
কিছুদিন ধরে আনোয়ার হোসেন বিভিন্নভাবে সোনালী ও তার পিতা-মাতাকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিল। সম্প্রতি সোনালীর ভাইকে আনোয়ার বেদম মারপিট করে বলে সোনালীর পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়। এর পরই সরফরাজ মণ্ডলকে হত্যা করা হয়েছে বলে পরিবার ও গ্রামবাসীর ধারণা।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, সরফরাজ মণ্ডল গত শনিবার বিকালে পার্শ্ববর্তী দাঁড়িদহ হাটে যান। রাতে তিনি আর বাড়ি ফেরেননি। পরিবারের লোকজন অনেক খোঁজাখুঁজির পরেও তার সন্ধান পায়নি। রোববার সকালে পার্শ্ববর্তী কৃষ্ণপুর ছয়ঘরিয়া গ্রামের জনৈক মিঠু মিয়ার অব্যবহৃত একটি বাড়ির বারান্দায় স্থানীয়রা তার লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন।
গোবিন্দগঞ্জ থানার এসআই আব্দুল্ল্যাহ আল মামুন জানান, নিহতের মুখে রক্তের দাগ ছিল। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।