জুমবাংলা ডেস্ক : সিরাজগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. আব্দুল আজিজের ওপর আস্থা হারিয়ে জনগণের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ড. হোসেন মনসুর।
গত সোমবার (২৩ মে) রাত ১০টায় সামাজিক যোগাযোগ-মাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়ে ক্ষমা চান আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপ-কমিটির এ চেয়ারম্যান।
‘মনোনয়ন চাই বা না চাই, ক্ষমা প্রার্থী’ শিরোনামে নিজের ছবিসহ পোস্টে বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেওয়া প্রতিশ্রুতি প্রত্যাহার করে রায়গঞ্জ-সলঙ্গা-তাড়াশবাসীর কাছে ক্ষমা চান হোসেন মনসুর।
এমপি অধ্যাপক ডা. আব্দুল আজিজকে ইঙ্গিত করে ফেসবুকে তিনি লেখেন- ‘একটি মানুষের উপর বিশ্বাস রেখে পাঙ্গাসী, ধানগড়া, সাহেবগঞ্জ ও তাড়াশের জনসভায় আমি এই বলে অঙ্গীকার করেছিলাম যে, এই ব্যক্তিটি যদি দুর্নীতি করে, মানুষের নিকট থেকে অবৈধভাবে অর্থ গ্রহণ করে, সরকারি উন্নয়ন প্রকল্পের টাকা বা গরিবের জন্য বরাদ্দকৃত সরকারি অনুদান আত্মসাৎ করে অথবা পরিবারতন্ত্র চালু করে, তাহলে আমার পিঠে চাবুক মেরো। এর আগে যদি আমি মারাও যাই তবে আমার কবরে চাবুক মেরো। আমার কাছে মানুষের অভিযোগ ও তথ্যের ভিত্তিতে আমি তার ওপর থেকে সব আস্থা হারিয়েছি। এজন্য আমি আমার উপরোক্ত অঙ্গীকারের জন্য অনুতপ্ত। তাই আমি রায়গঞ্জ সলঙ্গা ও তাড়াশবাসীর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।’
প্রসঙ্গত, গত ২৬ মার্চ রাতে তাড়াশ উপজেলার বারুহাস ইউনিয়নের বিনোদপুরে অনুষ্ঠিত একটি জনসভায় এমপি ডা. মো. আব্দুল আজিজকে হাইব্রিড আওয়ামী লীগ বলে মন্তব্য করেন ড. হোসেন মনসুর। তিনি আরও বলেন, আব্দুল আজিজ কখনো আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেননি। তার পরিবার ও আত্মীয়-স্বজন কেউ আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নয়। এ ছাড়া এ এমপির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগও তোলেন ড. হোসেন মনসুর।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যাপক ড. হোসেন মনসুর বলেন, গত নির্বাচনে অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল আজিজ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেলেও এলাকার লোকজন তাকে চিনতো না। আমি তাকে নিয়ে পাঙ্গাসী, ধানগড়া, সাহেবগঞ্জ ও তাড়াশে জনসভা করি। সেখানে যেসব অঙ্গীকার করেছিলাম, তার উল্টা হয়েছে। আমার কাছে অনেক অভিযোগ ও তথ্য আছে। এ জন্যই ক্ষমা চেয়েছি।
এ প্রসঙ্গে অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল আজিজ এমপির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগসমূহ মিথ্যা উল্লেখ করে বলেন, তার যদি কোনো কথা থাকে তা সরাসরি আমার কাছে বা পার্টির ফোরামে গিয়ে বলতে পারেন। এ ছাড়া, তিনি যদি আমার কোনো অনিয়ম-দুর্নীতি প্রমাণ করতে পারেন তাহলে আমি এমপি পদ থেকে পদত্যাগ করবো।
তিনি আরও বলেন, ইতোপূর্বে এ ধরনের মন্তব্য করে তিনি ক্ষমাও চেয়েছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।