আজকের বিশ্বে, অ্যালগরিদম এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) আমাদের জীবনে বেশি প্রভাব রাখছে। অ্যালগরিদম এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ঠিক করে দিচ্ছে আমরা অনলাইনে কোন কন্টেন্ট দেখবো, কোন সঙ্গীত উপভোগ করবো এবং এমনকি আমাদের প্রশ্নের উত্তর দিয়ে দেয় তারা। কিন্তু মনোবিজ্ঞানী এবং আচরণগত বিজ্ঞানী গের্ড গিগারেনজারের মতে, AI এর উপর এই নির্ভরতা আমাদের আচরণকে এমনভাবে পরিবর্তন করতে পারে যা আমরা পুরোপুরি বুঝতে পারি না।
গিগারেনজার, যিনি জার্মানির পটসডাম বিশ্ববিদ্যালয়ের হার্ডিং সেন্টার ফর রিস্ক লিটারেসির পরিচালক, কয়েক দশক ধরে গবেষণা করেছেন যে লোকেরা কীভাবে অনিশ্চয়তার মুখোমুখি হয়ে সিদ্ধান্ত নেয়। তার সর্বশেষ বই, “হাউ টু স্টে স্মার্ট ইন এ স্মার্ট ওয়ার্ল্ড,” তিনি বলেন যে, কীভাবে অ্যালগরিদম আমাদের ভবিষ্যতকে নতুন রূপ দিচ্ছে।
Gigerenzer-এর মূল দৃষ্টিভঙ্গির মধ্যে একটি হল যে, গভীর নিউরাল নেটওয়ার্কের মতো জটিল অ্যালগরিদম স্থিতিশীল এবং পরিস্থিতিতে মানুষের চেয়ে ভাল সিদ্ভান্ত নিতে পারে। যেমন দাবা এর মতো গেম। যেসব সমস্যা স্থিতিশীল নয়, যেমন করোনাভাইরাসের মতো মহামারির ভবিষ্যদ্বাণী করা; জটিল অ্যালগরিদম এখানে মানুষের মতো কাজ করে না। Gigerenzer এই নীতিটিকে “স্থিতিশীল বিশ্বের নীতি” হিসাবে উল্লেখ করেছেন এবং তিনি পরামর্শ দেন যে, AI থেকে শতভাগ সুবিধা পেতে, আমাদের বিশ্বকে আরও স্থিতিশীল করে তুলতে হবে।
মানুষের চেয়ে কিছু কাজ ভালোভাবে সম্পাদন করার ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও, গিগারেঞ্জার জোর দিয়ে বলেন যে, অ্যালগরিদম এখনও কেবল গণনা করার মেশিন। তারা টেক্সট নির্মাণ করতে পারে, কিন্তু তারা সত্যিকার অর্থে মানুষের মতো ভাষা বোঝে না। মানুষের ত্রুটিপূর্ণ অ্যালগরিদমের উপর নির্ভর করা উচিত হবে না।
এছাড়াও সরকার এবং প্রযুক্তি কোম্পানি দ্বারা নজরদারি বিপদ সম্পর্কে তিনি সতর্ক করেছেন। তিনি ব্যাখ্যা করেন যে, প্রায়শই মানুষের ব্যক্তিগত ডেটা বিজ্ঞাপনদাতাদের কাছে অর্থোপার্জনের জন্য প্রদান করা হয়। সামগ্রিকভাবে, Gigerenzer অ্যালগরিদম এবং AI এর সীমাবদ্ধতা এবং বিপদ সম্পর্কে সচেতন হওয়ার গুরুত্বের উপর জোর দেয়। আমাদের প্রযুক্তিটি বোঝার চেষ্টা করা উচিত এবং এটিকে এমনভাবে ব্যবহার করা উচিত যা আমাদের উপকারে আসবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।