নিউক্লিয়ার প্যান্ট বা পারমাণবিক চুল্লির কথা আমরা অনেক শুনেছি। কিন্তু আপনি কি কখনো ভেবে দেখেছেন এই নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্ট কিভাবে কাজ করে। কিভাবে স্বল্প খরচে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়। অথবা কিভাবে ব্যবহার করা হয় এ তেজস্ক্রিয় জ্বালানি।
সাধারণ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মত এখানে থাকে জেনারেটর বা টারবাইন। এটি ঘুরানোর মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়। তেজস্ক্রিয় শক্তি সম্পন্ন জ্বালানি ব্যবহার করে এখানে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়। এখানে ইউরেনিয়ামকে তেজস্ক্রিয় জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
২৩৫ গ্রাম ইউরেনিয়াম এর মধ্যে ৮০৫ কেজি কয়লার সমপরিমাণ শক্তি রয়েছে। প্রকৃতিতে পাওয়া ইউরেনিয়াম কে প্রসেসিং করে ছোট আকৃতির প্যালেট তৈরি করা হয়। এগুলোকে ধাতব ফাইবের মধ্যে প্রবেশ করানো হয়।
কয়েকটি ইউরেনিয়াম এর রড একসাথে তৈরি করা হয় বান্ডেল। এ বান্ডেল কে ব্যবহার করেই ফিউশন প্রক্রিয়ায় তীব্র উত্তপ্ত তৈরি করা হয়। এখান থেকে যে বাষ্প উৎপাদিত হয় তা তার ব্যাংকে ঘুরাতে সাহায্য করে। এর ফলে বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়।
ইউরেনিয়াম বান্ডেল থেকে চার থেকে পাঁচ বছর ধরে তার বিকিরণ হতে থাকে। এরপর পারমাণবিক বান্ডেলগুলো আর বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারে না। কিন্তু এ বিষাক্ত পদার্থ তখনো উত্তপ্ত থাকে। ফলে লম্বা সময় ধরে এগুলোকে পানির নিচে ঠান্ডা করে রাখতে হয়।
পুরোপুরি ঠান্ডা হতে এগুলোর সময় লাগে আরও কয়েক বছর। এরপর বজ্র ব্যবস্থা নেওয়ার দ্বিতীয় স্তরের কাজ শুরু হয়ে যায়। পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষেত্রে বজ্র ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে অনেকটা একই রকম কৌশল অবলম্বন করা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।